চলতি বছর এসএসসি পরীক্ষায় নকল করে বহিষ্কৃত হওয়া ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের ৫৫ জন পরীক্ষার্থীকে শাস্তি দেয়া হয়েছে। তাদের ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দের এসএসসির সবগুলো পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে। বহিষ্কৃত একজন পরীক্ষার্থীকে ২০২৫ ও ২০২৬ খ্রিষ্টাব্দের জন্য ও দুইজন পরীক্ষার্থীকে ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দের জন্য এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। অপরদিকে চলতি বছরের পরীক্ষাগুলো বাতিল হলেও বাকি ৫২ জন পরীক্ষার্থীকে আগামী বছর অর্থাৎ ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়ার সুযোগ দেয়া হয়।
সম্প্রতি অনুষ্ঠিত বোর্ডের শৃঙ্খলা কমিটির সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সভার কার্যবিবরণী প্রকাশ করেছে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড।
সভায় চলতি বছরের এসএসসি পরীক্ষায় নকল করে বহিষ্কৃত হওয়া পরীক্ষার্থীদের বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন শৃঙ্খলা কমিটির সদস্যরা। বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে পাওয়া অভিযোগ, তাদের উত্তরপত্র, কক্ষ পরিদর্শক, হল সুপার ও কেন্দ্র সচিবদের প্রতিবেদন. বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীদের জবাব পরীক্ষা নিরীক্ষা করেন সদস্যরা। পরে তিন ক্যাটাগরিতে বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীদের শাস্তি আরোপের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
প্রথম ক্যাটাগরিতে ৫২ জন পরীক্ষার্থীর ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দের এসএসসি পরীক্ষা বাতিল করা হয়। তারা ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দের এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে বলে সিদ্ধান্ত নেয় কমিটি।
দ্বিতীয় ক্যাটাগরিতে আরও দুইজন পরীক্ষার্থীর (রোল : ১০৪২১৫ ও ৫১৮৩৩৯) ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দের এসএসসি পরীক্ষা বাতিল করা হয় ও ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দের এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়ার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।
তৃতীয় ক্যাটাগরিতে একজন পরীক্ষার্থীর (রোল : ৩২০৪০৯) ২০২৪ সালের এসএসসি পরীক্ষা বাতিল করে ২০২৫ ও ২০২৬ খ্রিষ্টাব্দের জন্য পরীক্ষায় অংশগ্রহণে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।
পরীক্ষা পরিচালনা নীতিমালা অনুযায়ী ওই ৫৫ জন পরীক্ষার্থীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয় শৃঙ্খলা কমিটি। এছাড়া সভায় গত ২৩ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত শৃ্ঙ্খলা কমিটির সভার কার্যবিবরণী অনুমোদেন দেয়া হয়।
চলতি বছর এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় ১ লাখ ৮২ হাজার ১২৯ শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছিল। জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছাত্রী ৯৮ হাজার ৭৭৬ জন। ছাত্র ৮৩ হাজার ৩৫৩ জন। এসএসসি-সমমান পরীক্ষায় গড় পাসের হার ছিলো ৮৩ দশমিক ৪ শতাংশ।
গত ১৫ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়েছিল এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। লিখিত পরীক্ষা শেষ হয় গত ১২ মার্চ। ব্যবহারিক পরীক্ষা ১৩ থেকে ২০ মার্চের মধ্যে অনুষ্ঠিত হয়। ১১টি শিক্ষা বোর্ডের অধীন এ বছর ২০ লাখ ২৪ হাজার ১৯২ জন পরীক্ষার্থী এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন। এর মধ্যে ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীন পরীক্ষার্থী ১৬ লাখ ৬ হাজার ৮৭৯ জন। মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীন দাখিল পরীক্ষার্থী ২ লাখ ৪২ হাজার ৩১৪ জন। কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীন এসএসসি (ভোকেশনাল) ও দাখিল (ভোকেশনাল) পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন ১ লাখ ২৬ হাজার ৩৭৩ জন।