বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এন্ট্রি লেভেলের শিক্ষক পদে প্রার্থী বাছাই ও নিয়োগ সুপারিশ করার কারিগরি সক্ষমতা চায় বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। প্রতিষ্ঠানটি শিক্ষক নিবন্ধন ও নিয়োগ সুপারিশের দায়িত্বে থাকলেও অনলাইনে প্রার্থীদের আবেদন গ্রহণ, তা প্রক্রিয়া করা, শূন্যপদের তথ্য সংগ্রহ ও নিয়োগ সুপারিশপত্র প্রকাশসহ নানা কারিগরি কাজে সহযোগী প্রতিষ্ঠানের মুখাপেক্ষী। এতে নানা জটিলতা ও সময় নষ্ট হয়। তাই আইসিটি সেলকে সক্ষম করতে চাইছে এনটিআরসিএ। এর মাধ্যমে প্রার্থীদের আবেদন গ্রহণ, নিয়োগ সুপারিশ প্রক্রিয়া ও শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার আবেদন গ্রহণ, মেধাতালিকা প্রণয়নসহ সংশ্লিষ্ট কাজগুলো পরিচালনা করা সহজ হবে। ![](https://adserver.dainikshiksha.com/www/delivery/lg.php?bannerid=0&campaignid=0&zoneid=55&loc=https%3A%2F%2Fwww.dainikshiksha.com%2F%25e0%25a6%25b6%25e0%25a6%25bf%25e0%25a6%2595%25e0%25a7%258d%25e0%25a6%25b7%25e0%25a6%2595-%25e0%25a6%25a8%25e0%25a6%25bf%25e0%25a7%259f%25e0%25a7%258b%25e0%25a6%2597-%25e0%25a6%25b8%25e0%25a7%2581%25e0%25a6%25aa%25e0%25a6%25be%25e0%25a6%25b0%25e0%25a6%25bf%25e0%25a6%25b6%25e0%25a7%2587%25e0%25a6%25b0-%25e0%25a6%2595%25e0%25a6%25be%25e0%25a6%25b0%25e0%25a6%25bf%25e0%25a6%2597%25e0%25a6%25b0%25e0%25a6%25bf-%25e0%25a6%25b8%25e0%25a6%2595%25e0%25a7%258d%25e0%25a6%25b7%25e0%25a6%25ae%25e0%25a6%25a4%25e0%25a6%25be-%25e0%25a6%259a%25e0%25a6%25be%25e0%25a7%259f-%25e0%25a6%258f%25e0%25a6%25a8%25e0%25a6%259f%25e0%25a6%25bf%25e0%25a6%2586%25e0%25a6%25b0%25e0%25a6%25b8%25e0%25a6%25bf%25e0%25a6%258f%2F264482%2F&referer=http%3A%2F%2Fwww.dainikshiksha.com%2F%25e0%25a6%25b6%25e0%25a6%25bf%25e0%25a6%2595%25e0%25a7%258d%25e0%25a6%25b7%25e0%25a6%2595-%25e0%25a6%25a8%25e0%25a6%25bf%25e0%25a7%259f%25e0%25a7%258b%25e0%25a6%2597-%25e0%25a6%25b8%25e0%25a7%2581%25e0%25a6%25aa%25e0%25a6%25be%25e0%25a6%25b0%25e0%25a6%25bf%25e0%25a6%25b6%25e0%25a7%2587%25e0%25a6%25b0-%25e0%25a6%2595%25e0%25a6%25be%25e0%25a6%25b0%25e0%25a6%25bf%25e0%25a6%2597%25e0%25a6%25b0%25e0%25a6%25bf-%25e0%25a6%25b8%25e0%25a6%2595%25e0%25a7%258d%25e0%25a6%25b7%25e0%25a6%25ae%25e0%25a6%25a4%25e0%25a6%25be-%25e0%25a6%259a%25e0%25a6%25be%25e0%25a7%259f-%25e0%25a6%258f%25e0%25a6%25a8%25e0%25a6%259f%25e0%25a6%25bf%25e0%25a6%2586%25e0%25a6%25b0%25e0%25a6%25b8%25e0%25a6%25bf%25e0%25a6%258f%2F264482%2F&cb=404ce4b770)
একইসঙ্গে বিভিন্ন মামলা মোকাবিলায় আইন সেলকেও শক্তিশালী করতে চাইছে এনটিআরসিএ। পাশাপাশি শূন্যপদের তথ্য যাচাই-বাছাই ও শিক্ষা প্রশাসনের সঙ্গে সার্বিক সমন্বয় সাধনে বিভাগীয় শহরগুলোতে আঞ্চলিক অফিস করে একজন উপপরিচালককে দায়িত্ব দেয়ার বিষয়ে ভাবছে। এজন্য প্রতিষ্ঠানটির ৬৯ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর পদ বাড়িয়ে ২৯৫ জন করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এসব জনবল অন্তর্ভুক্ত করে খসড়া অর্গানোগ্রাম পাঠানো হয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা দৈনিক আমাদের বার্তাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, বর্তমানে এনটিআরসিএকে কারিগরি সহায়তা দেয় টেলিটক। কিন্তু অন্যান্য সরকারি সংস্থার নিয়োগ সংক্রান্ত কাজেও টেলিটক কারিগরি সহায়তা দেয়। তাই অনেক ক্ষেত্রে এনটিআরসিএকে অপেক্ষা করতে হয়। আবার এক প্রক্রিয়ায় প্রার্থী-বাছাই বা নিয়োগ প্রক্রিয়া চালাতে বলা হলেও অনেক সময় তা মানতে পারে না টেলিটক। ফলে নানা জটিলতা সৃষ্টি হয়।
এনটিআরসিএ কর্মকর্তারা দৈনিক আমাদের বার্তাকে জানান, বর্তমানে শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার আওতায় প্রিলিমিনারি, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা নেয়া হয়। প্রিলিমিনারি ও লিখিত পরীক্ষা আটটি বিভাগীয় শহরসহ ২৪টি জেলা শহরে সম্পন্ন করতে হয়। ওই সব জেলা প্রশাসন, জেলা শিক্ষা অফিস এবং উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ করে পরীক্ষার কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হয়। মাঠ পর্যায়ে এনটিআরসিএর কোনো অফিস না থাকায় এই সমন্বয়ের কাজে বিঘ্ন ঘটে। এ কারণে বিভাগীয় শহরগুলোতে এনটিআরসিএর পদ সৃজন করা জরুরি। আটটি বিভাগীয় শহরে উপপরিচালকের পদ সৃজন করা গেলে এনটিআরসিএর শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা গ্রহণের কাজের সমন্বয় সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব হবে। আর মাঠ পর্যায়ে এনটিআরসিএর অফিস না থাকায় শিক্ষক নিয়োগের শূন্য পদের চাহিদা মাঠ পর্যায়ে সঠিকভাবে যাচাই করা সম্ভব হয় না। শূন্য পদের ভুল চাহিদার কারণে পরবর্তীতে জটিলতা সৃষ্টি হয়। সঠিক চাহিদা আনার জন্য মাঠ পর্যায়ে এনটিআরসিএ'র অফিস প্রয়োজন।
তারা আরো বলেন, নিয়োগ সুপারিশ, শিক্ষক নিয়োগের আবেদন গ্রহণ, শিক্ষক নিবন্ধনের আবেদন গ্রহণ সংক্রান্ত কাজ যথাযথভাবে সম্পন্ন করার জন্য এনটিআরসিএর আইসিটি সেলকে আরো কার্যকর করা প্রয়োজন। এ জন্য সিনিয়র সিস্টেম এনালিস্ট, সিস্টেম এনলিস্ট পদসহ প্রোগ্রামার এবং সহকারী প্রোগ্রামারের পদ সৃজন করা প্রয়োজন। আর এনটিআরসিএকে নিয়োগ সুপারিশের দায়িত্ব দেয়ার পর বিভিন্ন বিষয়ে মামলা দায়ের করা হচ্ছে। এসব মামলা পরিচালনায় আইন অনুবিভাগ সৃজন প্রয়োজন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে এনটিআরসিএ সচিব মো. ওবায়দুর রহমান দৈনিক আমাদের বার্তাকে বলেন, ইতোমধ্যে ২৯৫ জন জনবলের একটি অর্গানোগ্রাম পাঠানো হয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে তা অনুমোদন হলে প্রথমে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।
শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক শিক্ষার ইউটিউব চ্যানেলের সাথেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে সয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক শিক্ষা ডটকমের ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।