চলমান শিক্ষক সংকট কাটাতে ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধনে পাসের হার বাড়ানোর চিন্তা করছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। ইতোমধ্যে আগামীতে প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় প্রক্রিয়াগত পরিবর্তন এনে পাস বাড়ানোর প্রক্রিয়া শুরুর প্রস্তাব এসেছে শিক্ষা প্রশাসনের পক্ষ থেকে। তবে, নতুন নিবন্ধন প্রক্রিয়া শুরুর আগেই চলমান সংকট কাটাতে ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধনে পাস বাড়ানোর চিন্তা করা করা হচ্ছে।
জানা গেছে, শিক্ষক সংকট থাকা বিষয়গুলোতে নিবন্ধিত হতে লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেয়া প্রার্থীদের বেশি পাস করানোর চিন্তা করা হচ্ছে। এসব বিষয়ের লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীরা ৪০ নম্বর পেলেই নিবন্ধিত হতে ভাইভায় বসার সুযোগ পাবেন। আগামী আগস্ট মাসের শুরুতে ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধনের লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হতে পারে।
কর্মকর্তারা বলছেন, চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তিতে নিয়োগের জন্য নির্বাচিত প্রার্থীরা যোগদান করলেও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অর্ধলক্ষাধিক শিক্ষক পদ খালি থাকছে। ভৌত বিজ্ঞান, চারুকলা, আইসিটি, বিভিন্ন কারিগরি বিষয় (স্কুল পর্যায়-২) ও মাদরাসার বিভিন্ন আরবি বিষয়ে যোগ্য ও নিবন্ধিত প্রার্থী না পাওয়ায় সংকট কাটানো যাচ্ছে না।
সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী, নতুন শিক্ষকরা যোগদানের পর ২০২২ খ্রিষ্টাব্দের অক্টোবর থেকে খালি থাকা ৪০ হাজারের বেশি পদ শূন্যই থাকবে। তার সঙ্গে যোগ হবে মৃত্যু ও অবসরের কারণে শূন্য হয়ে পড়া আরো বেশ কিছু পদ। এসব বিবেচনায় ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধনেই সংকটে থাকা বিষয়গুলোতে পাসের হার বাড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে এনটিআরসিএর সচিব মো. ওবায়দুর রহমান দৈনিক আমাদের বার্তাকে বলেন, যোগ্য প্রার্থী না পাওয়ায় সব পদ পূরণ করা যায়নি। হয়তো আমরা সংকটে থাকা বিষয়গুলোতে ৪০ পেলেই প্রার্থীদের ভাইভায় অংশ নেয়ার সুযোগ দেবো।
এনটিআরসিএ সূত্র বলছে, সর্বশেষ সংশোধিত বিধিমালা অনুসারে মোট শূন্য পদের তথ্য সংগ্রহ করে ২০ শতাংশ প্রার্থী অতিরিক্ত রেখে তাদের নিবন্ধিত বা নিয়োগের যোগ্য করে জাতীয় মেধা তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। তাই যেসব পদ বেশি খালি আছে সেগুলোতে স্বাভাবিকভাবেই বেশি প্রার্থী নিবন্ধিত হওয়ার সুযোগ পাবেন। একই নীতিমালার বিধান অনুযায়ী নিবন্ধিত হতে নূন্যতম ৪০ শতাংশ নম্বর থাকতে হবে।
গত ৫ ও ৬ মে শিক্ষক নিবন্ধনের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এ পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন ১ লাখ ৪ হাজারের বেশি প্রার্থী। গত ৫ মে অনুষ্ঠিত স্কুল ও স্কুল পর্যায়-২ এর লিখিত পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন ৫৭ হাজার ২৭৪ জন। আর ৬ মে অনুষ্ঠিত কলেজ পর্যায়ের লিখিত পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন ৪৭ হাজার ৫৬০ জন। প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় ১ লাখ ৫১ হাজার প্রার্থী উত্তীর্ণ হয়ে লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেয়ার সুযোগ পেলেও ১ লাখ ৪ হাজারের বেশি প্রার্থী এ পরীক্ষা দিয়েছিলেন।
আগামী আগস্ট মাসের শুরুতে লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ করার আশা কর্মকর্তাদের। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের ভাইভা পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে। ভাইভার পর চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করে প্রার্থীদের শিক্ষক নিবন্ধন সনদ দেবে এনটিআরসিএ। একইসঙ্গে তাদের জাতীয় মেধাতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।