মানবন্ধনে ভুক্তভোগীরা বলেন, এনটিআরসিএর চেয়ারম্যান ও সচিবসহ অন্যান্যদের অদক্ষতা ও অবহেলায় ১৭তম নিবন্ধনের কার্যক্রম শেষ করতে প্রায় চার বছর লেগেছে। প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হয়েও এনটিআরসিএর চেয়ারম্যান ও সচিব নিবন্ধনধারীদের সঙ্গে কলোনীযুগের আচরণ করেন।
১৭তম নিবন্ধন ফোরামের উত্তম সরকার জানান, ১৭তম নিবন্ধনে উত্তীর্ণ হয়েও বয়সের গ্যাড়াকলে আমাদের জীবন আটকা পড়েছে। এর দায় এনটিআরসিএর। আমরা আবেদনের সুযোগ চাই। সারাদেশের ১৭তম ৩৫ ঊর্ধ্ব নিবন্ধনধারীদের আমাদের কর্মসূচিতে যোগ দেয়ার আহবান জানাচ্ছি।
তারা আরো বলেন, ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধনের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয় ২০২০ খ্রিষ্টাব্দের ২৩ জানুয়ারি। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ থেকে শুরু করে মৌখিক পরীক্ষার ফল প্রকাশ করতে প্রায় চার বছর সময় লেগে যায়। ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় আবেদনের সময় আমাদের অনেকের বয়স ৩১, ৩২, ৩৩ এবং ৩৪ বছর থাকলেও চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ হওয়ার পর অনেকের বয়স ৩৫ বছর পার হয়ে গেছে।
জমির উদ্দীন মাবন্ধনের জানান, এর আগে গত ১২ ফেব্রুয়ারি একই দাবিতে এনটিআরসিএ’র কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন করেছি। তখন পুলিশ বাহিনী দিয়ে আমাদের তুলে দিয়েছেন। তাই আমরা প্রেসক্লাবের সামনে এসেছি, এখন থেকে এখানেই আন্দোলন কর্মসূচি দেবো। প্রেসক্লাবই দাবি-দাওয়া জানানোর আসল জায়গা।
এর আগে আবেদনের সুযোগ চেয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং এনটিআরসিএ’র চেয়ারম্যান বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন তারা।
মানবন্ধন শেষে েএকজন নিবন্ধনধারী বলেন, রিট ব্যবসায়ীদের খপ্পড়ে পরে লাখ লাখ টাকা খুইয়েছেন ১৭তম ৩৫ প্লাসদের অনেকে। আইনী লড়াইয়ে হেরে গেলেও সংশ্লিষ্ট আইনজীবী তা তার মোয়াক্কেলদের জানানানি। এবার নতুন খপ্পড়ে পড়েছেন কেউ কেউ।