কুড়িগ্রামের রৌমারীতে নরুন্নবী নামের এক প্রধান শিক্ষককে পেটানোর ঘটনায় উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা রোকনুজ্জামান রোকনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। শনিবার (২১ জানুয়ারি) বিকালে ভুক্তভোগী শিক্ষক বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলায় উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা রোকনুজ্জামান রোকনসহ দু’জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ১০-১২ জনকে আসামি করা হয়েছে।
আসামিরা হলো, রৌমারী উপজেলার পাখিউড়া এলাকার আজমত আলীর ছেলে এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক রোকনুজ্জামান রোকন, ফুলকারচর এলাকার মৃত আকায়েত উল্লাহর ছেলে আসাদুল ইসলাম (৪৭)।
জানা যায়, বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) দুপুরে ফুলকারচর নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নরুন্নবীকে উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা রোকনুজ্জামান রোকন ও তার লোকজন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হোরায়রার বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষে এলোপাথাড়ি মারধর করেন। প্রধান শিক্ষককে মারধরের ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে উপজেলাসহ দেশজুড়ে সমালোচনার শুরু হয়।
ভিডিওতে দেখা যায়, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও রৌমারী সিজি জামান সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু হোরায়রার অফিসে প্রধান শিক্ষককে এলোপাথাড়ি চড়থাপ্পর মারেন। সাধারণ সম্পাদক আবু হোরায়রা চেয়ার থেকে উঠে গিয়ে ওই আওয়ামী লীগ নেতাকে ধাক্কা দিয়ে অফিস কক্ষ থেকে বের করেন।
ভুক্তভোগী প্রধান শিক্ষক নরুন্নবী বলেন, আমার উপর অন্যায়ভাবে অত্যাচার করা হয়েছে। আমি সুষ্ঠু বিচার চাই।
ফুলকারচর নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি শুকুর মাহমুদ বলেন, বিদ্যালয়ের কমিটি গঠনের কাজে শিক্ষা অফিসে গিয়েছিলেন প্রধান শিক্ষক নরুন্নবী। তাকে অন্যায়ভাবে তুলে নিয়ে মারধর করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।
রৌমারী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও রৌমারী সিজি জামান উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু হোরায়রা বলেন, এটি একটি ন্যক্কারজনক ঘটনা। দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে আওয়ামী লীগ নেতা রোকনুজ্জামান রোকনের বিরুদ্ধে অবশ্যই সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রৌমারী থানার ওসি রূপকুমার সরকার বলেন, প্রধান শিক্ষককে পেটানোর ঘটনায় রোকনুজ্জামান রোকনসহ দু’জনের নামে ও অজ্ঞাত আরও ১০-১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।