ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটির শিক্ষক ড. মোহাম্মদ সরোয়ার হোসেনকে ক্লাসে ফেরানোর দাবি মেনে নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সোমবার (২৯ জানুয়ারি) থেকে তিনি ক্লাসে ফিরবেন বলে আন্দোলনত শিক্ষার্থীদের আশ্বস্ত করেছে প্রশাসন।
এর আগে রোববার (২৮ জানুয়ারি) বেলা ১১টা থেকে ক্লাস বর্জন করে ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। পরে শিক্ষক ড. মোহাম্মদ সরোয়ার হোসেনকে ক্লাসে ফেরানোর আশ্বাসে দুপুর ১টার দিকে শিক্ষার্থীরা কর্মসূচি স্থগিত করেন।
শিক্ষার্থীরা জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অফিস থেকে কর্মকর্তারা এসে তাদের দাবি মেনে নেওয়ার বিষয়ে আশ্বস্ত করেছেন। শিক্ষক ড. মোহাম্মদ সরোয়ার হোসেন সোমবার থেকে ক্লাসে নিয়মিত হবেন বলে কর্মকর্তারা শিক্ষার্থীদের মৌখিকভাবে জানিয়েছেন।
আন্দোলন করা শিক্ষার্থীরা বলেন, প্রশাসনের আশ্বাসে আমরা আন্দোলন আজকের মতো স্থগিত করেছি। তারা আমাদের ক্লাসে ফিরে যেতে বলেছেন। আমরা মনে করছি, আন্দোলন সফল হয়েছে। তবে আমরা প্রশাসনের এমন আশ্বাস পর্যবেক্ষণ করছি। দাবি বাস্তবায়নে কোনো ধরনের ব্যত্যয় দেখা গেলে অবশ্যই শিক্ষার্থীরা আবার মাঠে নেমে আসবেন।
তবে এ বিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কেউ মন্তব্য করতে রাজি হননি।
ড. মোহাম্মদ সরোয়ার হোসেন ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটির (আইইউবি) স্কুল অফ এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড লাইফ সায়েন্সের সহযোগী অধ্যাপক।
গত ১৯ জানুয়ারি রাজধানীর কাকরাইলে ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্সে ‘বর্তমান কারিকুলামে নতুন পাঠ্যপুস্তক: বাস্তবতা ও ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক সেমিনারে সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বইয়ের শরীফ থেকে শরীফা হওয়ার গল্পের অংশটুকু ছিঁড়ে প্রতিবাদ জানান ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের খণ্ডকালীন শিক্ষক আসিফ মাহতাব।
একই অনুষ্ঠানে শরীফ থেকে শরীফা হওয়ার গল্প নিয়ে তীব্র সমালোচনা করে বক্তব্য রাখেন ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটির সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সরোয়ার হোসেনও। তার বক্তব্যের ভিডিওটিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটির পক্ষ থেকে ড. মোহাম্মদ সরোয়ার হোসেনকে আর ক্লাসে না যাওয়ার জন্য জানানো হয়।