গাজীপুরের কাপাসিয়ায় শিক্ষক মো. নূরুল ইসলামের হাত-পায়ের রগ কেটে পুকুরে ফেলে দেয়ার ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক ও অধ্যক্ষদের সংগঠন বাংলাদেশ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান পরিষদ। গত রোববার রাতের এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে মঙ্গলবার মানববন্ধন করেছেন সংগঠনটির গাজীপুর জেলা শাখার নেতারা। এদিন বিকেলে কাপাসিয়া সদর ইউনিয়ন পরিষদের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে প্রধান শিক্ষক ও অধ্যক্ষরা বারিষাব ইউনিয়নের চরদুর্লভ খান আ হাই সরকার উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক নূরুল ইসলামের ওপর হামলার তীব্র প্রতিবাদ জানান ও দোষীদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনতে সরকার ও প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানান।
মানববন্ধনে শিক্ষককের রগ কেটে দেয়ার প্রতিবাদ জানিয়ে বক্তব্য দেন প্রতিষ্ঠান প্রধান পরিষদের গাজীপুর জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. আবুল কালাম আজাদ, কাপাসিয়া উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মো. লোকমান হেকিম, কাপাসিয়া উপজেলা শিক্ষক সমিতির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আইন উদ্দিন, প্রতিষ্ঠান প্রধান পরিষদের কাপাসিয়া উপজেলা শাখার সদস্য মো. শহিদুল্লাহ আজাদসহ অনেকে। মানববন্ধন শেষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে স্মারকলিপি জমা দেন।
জানা গেছে, গত রোববার রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার বারিষাব-আমরাইদ সড়কের নূরার ব্রিজ এলাকায় শিক্ষক মো. নূরুল ইসলামের (৫০) ওপর হামলা হয়। সোমবার বিকেলে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে নূরুল ইসলামের অস্ত্রোপচার হয়েছে। তবে পারিবারিক সূত্র জানায়, তিনি এখনও আশঙ্কামুক্ত নন।
স্থানীয়রা বলছেন, শিক্ষক নূরুর ইসলাম বারিষাব লালে সরকার বাড়ি জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতির দায়িত্বেও রয়েছেন। ওই মসজিদের রাস্তা নিয়ে দীর্ঘদিন বিরোধ চলছে। আবার চরদুর্লভ খান আ. হাই সরকার উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের সঙ্গেও নূরুল ইসলামের বিরোধ রয়েছে। দুটি দ্বন্দ্বের জের ধরে তার ওপর হামলা হতে পারে।