মিথিলা মুক্তা, দৈনিক শিক্ষাডটকম: সর্বজনীন পেনশন শিক্ষকদের আর্থিক সুরক্ষার জন্য ভালো বলে মন্তব্য করেছেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ।
মঙ্গলবার রাজধানীর ইনস্টিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স মিলনায়তনে শিক্ষক সমিতির ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিন এ কথা বলেন।
নেহাল আহমেদ বলেন, সর্বজনীন পেনশনের ফলে শিক্ষকদের অবসরের পরে অবসর কল্যাণ ভাতার পেছনে ছুটতে হবে না। এটা সবার জন্যই ভালো হবে। পৃথিবীর উন্নত দেশে এই সর্বজনীন পেনশনের ব্যবস্থা আছে। আমাদের দেশে শুরু হয়েছে- এটা একটা কোয়ালিটিফুল কাজ।
তিনি বলেন, সরকারি বা বেসরকারি শিক্ষক বলে আমার কাছে কোনো শব্দ নেই, আমি এটা বিশ্বাস করি না। শিক্ষকের কোনো জাত নেই, শিক্ষক তো শিক্ষকই। বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন শিক্ষা ও শিক্ষকদের পেছনে বিনিয়োগ করা মানে জাতির উন্নয়নে বিনিয়োগ করা। শিক্ষাকে উন্নত করতে হলে শিক্ষককে আগে উন্নত করতে হবে, শিক্ষকদের পেটে ভাত থাকতে হবে। শিক্ষক উন্নত না হলে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা ও প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশ অর্জিত হবে না। আমি এটা বিশ্বাস করি। কাজেই আমি বলি, শিক্ষকের কোনো শ্রেণি বিভাজন থাকা উচিত না।
এ সময় ডিজি আরো বলেন, দেখা গেছে আলুর ব্যাপারীও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সভাপতি হয়ে শিক্ষকদের নির্যাতন করার চেষ্টা করছেন। অথচ তিনি শিক্ষার ‘শ’ ও জানেন না। সেই তিনি চেয়ারে বসে আমাদের শিক্ষকদের ওয়াজ-নসিয়ত করেন।
তিনি বলেন, অনেক কষ্টের পরে ইতোমধ্যে নীতিমালা করেছি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সভাপতি হতে হলে অন্তত উচ্চ মাধ্যমিক পাস হতে হবে। ভবিষ্যতে এটা মাস্টার্স ডিগ্রি করা হবে।
নেহাল আহমেদ বলেন, শিক্ষাগত যোগ্যতা নেই, কিন্তু টাকার জোরে ম্যানেজিং কমিটিতে চলে আসছেন কেউ কেউ। এরপর তিনি শিক্ষকদের ধমক দিয়ে কথা বলবেন। এটা তো শিক্ষকরা মেনে নেবেন না। শিক্ষায় যখন টাকা গ্রাস করে, তখন শিক্ষার মান নিচের দিকে নামতে থাকে।
শিক্ষাসহ সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।