এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের আতঙ্ক ‘মিনিস্ট্রি অডিট। আর এ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা মাঠ পর্যায়ে নিজেদের পরিচয় দেন মিনিস্ট্রির অডিটর হিসেবে। বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডার হোক অথবা অধিদপ্তরের স্থায়ী অডিটর বা সিএজি থেকে আসা- প্রায় সবারই ভিজিটিং কার্ডে পরিচয় লেখা থাকে, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অডিটর। এ ‘মিনিস্ট্রি অডিট’ শব্দের ভেতর যাদু আছে। আর সেই যাদুতে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের কাছ থেকে বান্ডেল বান্ডেল টাকা বের হয়। শিক্ষা প্রশাসনে ঘুষের হটষ্পট-খ্যাত এ অধিদপ্তরটির নাম পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তর (ডিআইএ)। অফিসটি রাজধানীর আবদুল গণি রোডের ঘুষের স্বর্গখ্যাত শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর ভবনের দ্বিতীয় তলায়। একই ক্যাম্পাসে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর!
দৈনিক আমাদের বার্তার অনুসন্ধানে জানা যায়, গত রোববার দশটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অডিট করতে ফিরোজ হোসেন যান বগুড়ায়। সেখানে পর্যটন মোটেলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানদের ডেকে নির্দিষ্ট অংকের টাকা ঘুষ দাবি করেন। এ-কান ওকান ঘুরে বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেও চলে আসে। আর এ দিকে ভয়ে নাম প্রকাশ করতে চান না অভিযোগকারীরা।
মতামতের জন্য শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তা ও ডিআইএ পরিচালক অধ্যাপক অলিউল্লাহ মোহাম্মদ আজমতগীরকে পাওয়া যায়নি। তবে, ফিরোজ হোসেন ডিআইএ কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।
শুক্রবার গভীররাতে ফিরোজ টেলিফোনে দাবি করেছেন, অভিযোগ সত্য নয়।
দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।