দৈনিকশিক্ষা প্রতিবেদক: নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করায় চাঁদপুর-২ (মতলব উত্তর ও দক্ষিণ) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়াকে তলব করে ব্যাখ্যা চেয়েছে নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটি। আগামী মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ আদালতে সশরীরে হাজির হয়ে বা উপযুক্ত প্রতিনিধির মাধ্যমে লিখিতভাবে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে তাকে।
চাঁদপুর-২ আসনে নির্বাচন কমিশনের গঠন করা অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান এবং যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ সাইয়েদ মাহবুবুল ইসলাম স্বাক্ষরিত নোটিশটি শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) মায়া চৌধুরীকে পাঠানো হয়।
জানা গেছে, চাঁদপুর-২ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী এম. ইশফাক আহসান একই আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন। গত ১৪ ডিসেম্বর বেলা ১১টায় উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার (এটিইও) হাসানুজ্জামান লুলু জরুরি নোটিশের মাধ্যমে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের নৈমিত্তিক ছুটি বাতিল করে নৌকার প্রার্থী মায়া চৌধুরীর বাড়িতে সরকারি শিক্ষকদের নিয়ে নির্বাচনী আলোচনা করেন। যা আচরণবিধি লঙ্ঘন। কেন না, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরাই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রিজাইডিং ও পোলিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করবেন। ওই আলোচনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। এ বিষয়ে তদন্ত করে আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে মায়া চৌধুরীর মনোনয়ন বাতিলসহ আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ করেন ওই প্রার্থী।
নোটিশে উল্লেখ করা হয়, ওই সভার ভিডিও ক্লিপে দেখা যায় ফরাজীকান্দি ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সভাপতি মোক্তার গাজী নৌকার প্রার্থী মায়া চৌধুরীর উপস্থিতিতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সরাসরি নৌকা প্রতীকের পক্ষে কাজ করার আহ্বান করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার ব্যক্তিগত সহকারী মো. মামুন বলেন, আমরা এর আগে একটি নোটিশ পেয়েছিলাম এবং সেটির জবাবও দিয়েছি। নতুন কোনো শোকজের কাগজ এখনো আমরা পাইনি। আদালত কোনও শোকজ করলে আমরা সেটির জবাব দেবো।
উল্লেখ্য, এর আগেও স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মী সমর্থকদের ওপর হামলার ঘটনায় আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার জবাব চেয়ে নোটিশ দেয় নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটি। পরে তিনি ৬ ডিসেম্বর আইনজীবীর মাধ্যমে ওই কমিটিকে জবাব দেন।