পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলার ৫নং বেতকা গোয়ালতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. আবু হানিফকে শারীরীকভাবে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় বিচার নিশ্চিত করেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্বজল মোল্লা। সোমবার সকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ওই বিদ্যালয়ে গিয়ে কঠোর ভাষায় অভিযুক্তদের ভর্ৎসনা করেন এবং প্রকাশ্যে অপরাধীদেরকে দিয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষকের পায়ে ধরে ক্ষমা চাওয়ান। এর আগে এক ছাত্রীর তিন ভাই ওই শিক্ষকে মারধর করেছিলেন।
এসময় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আবু সাঈদ মিঞা, কাউখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. জাকারিয়া, উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. মনিবুর রহমান ও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
এ ঘটনায় উপস্থিত কাউখালী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি সুব্রত রায় উপজেলা নির্বাহী অফিসারের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, ইউএনও মহোদয় অপরাধীদের বিরুদ্ধে ক্ষমা চাইয়ে শিক্ষকের মর্যাদা অক্ষুন্ন রাখলেন এটি একটি দৃষ্টান্ত।
জানা গেছে, গত ১৬ নভেম্বর বিকেলে পূর্ব বেতকা বাজারে স্থানীয় বখাটে সজীব , মিন্টু ও ইয়াসিন শিক্ষক আবু হানিফকে শারিরীকভাবে লাঞ্ছিত করে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, গত বৃহস্পতিবার সকালে বেতকা গেয়ালতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় প্রান্তিক মূল্যায়ন পরীক্ষা চলার সময় চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী সাইমুন জাহান ফারিয়া হলে দায়িত্বে থাকা শিক্ষক মো. আবু হানিফের কাছে ইংরেজি বিষয়ের প্রশ্নের উত্তর জানতে চান। তিনি এর কোনো উত্তর না বলে তাকে লেখার জন্য বলেন। এর পরেও ওই ছাত্রী তাকে একাধিকবার ওই প্রশ্নের উত্তর জানতে চাইলে তাকে ধমক দিয়ে চুপচাপ পরীক্ষা দিতে বলেন শিক্ষক হানিফ। পরীক্ষা শেষে ওই ছাত্রী বাড়িতে গিয়ে তাকে শিক্ষক হানিফ মেরেছেন বলে অভিভাবকদের জানায়। পরীক্ষা শেষে ওই শিক্ষার্থীর ভাই মো. সজীব খান (২০), চাচাতো ভাই মো. মহাসিন মন্টু (২৫) ও মো. ইয়াছিন খান (১৯) শিক্ষক মো. আবু হানিফকে বাজারের একটি চায়ের দোকানে ধরে নিয়ে কিল-ঘুষি ও চর থাপ্পড় মারেন। এসময় স্থানীয়রা এসে তাকে উদ্ধার করেন। তখন তারা শিক্ষক আবু হানিফকে পারে দেখে নেয়ার হুমকি দেন। এ ঘটনায় কাউখালী থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছিলেন ভুক্তভোগী শিক্ষক।