শিক্ষকের কিল-ঘুষিতে ছাত্রকে আহ*ত, থানায় অভিযোগ - দৈনিকশিক্ষা

শিক্ষকের কিল-ঘুষিতে ছাত্রকে আহ*ত, থানায় অভিযোগ

দৈনিক শিক্ষাডটকম, পাবনা |

দৈনিক শিক্ষাডটকম, পাবনা: পাবনার বেড়া উপজেলায় এক শিক্ষক অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রকে কিল-ঘুষি ও মারধর করে আহত করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ওই শিক্ষার্থীর বাবা গতকাল শুক্রবার থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।

আহত ওই ছাত্র হচ্ছে বেড়া উপজেলার জাতসাখিনী ইউনিয়নের চকভরিয়া গ্রামের মাছেম মৃধার ছেলে মো. ইফতেখার মাহমুদ (১৪)। অভিযুক্ত শিক্ষকের নাম মো. আলাউদ্দিন। গত বৃহস্পতিবার উপজেলার আমিনপুর আয়েন উদ্দিন উচ্চবিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। বেড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে তাকে চিকিৎসা দেয়া হয়।

লিখিত অভিযোগ এবং ওই শিক্ষার্থীর মা–বাবার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে ইফতেখার মাহমুদ অন্যান্য শিক্ষার্থীর সঙ্গে বিদ্যালয়ে যায়। শ্রেণিকক্ষে ঢোকার সময় জটলার সৃষ্টি হলে বিদ্যালয়ের গণিত বিষয়ের শিক্ষক মো. আলাউদ্দিন সেখানে যান এবং ইফতেখার মাহমুদকে বেধড়ক কিল-ঘুষি মারতে থাকেন। এতে সে আহত হয়ে মাটিতে পড়ে যায়। পরে বিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষক ও ছাত্ররা তাকে উদ্ধার করে বাড়িতে পৌঁছে দেয়। বাড়িতে অসুস্থ হয়ে পড়লে পরিবারের সদস্যরা তাকে তাৎক্ষণিকভাবে বেড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। সেখানে কিছুটা সুস্থ হওয়ার পর তাকে বাড়িতে নিয়ে আসা হয়।

আজ শনিবার দুপুরে ইফতেখারদের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, সে বিছানায় শুয়ে আছে। ঘটনার দুদিন পরও তার শরীরে কিল-ঘুষি ও মারধরের চিহ্ন রয়েছে।

ইফতেখারের বাবা মাছেম মৃধা বলেন, ‘আমার ছেলেকে সম্পূর্ণ বিনা দোষে তিনি (আলাউদ্দিন) নির্মমভাবে মেরেছেন। এখনো আমার ছেলে ব্যথায় চিৎকার করছে। বিষয়টি নিয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ দিয়েও আমি কোনো বিচার পাইনি। তাই বাধ্য হয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।’

এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলমগীর হোসেন বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতিসহ আমরা বেশ কয়েকবার বসেছিলাম। কিন্তু এরই মধ্যে ছাত্রটির বাবা থানায় অভিযোগ করেছেন। বিষয়টি তদন্ত করার জন্য পুলিশও বিদ্যালয়ে এসেছিল। তাই বিষয়টি এখন আর আমাদের হাতে নেই। এ বিষয়ে আমরা প্রশাসনের পদক্ষেপের অপেক্ষায় রয়েছি।’

আজ দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ওই বিদ্যালয়ে গিয়ে অভিযুক্ত শিক্ষকের সঙ্গে দেখা হলেও ওই শিক্ষার্থীকে মারধর করার বিষয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। পরে তাঁর মুঠোফোনে কয়েকবার ফোন দেয়া হলেও তিনি ধরেননি।

এ ব্যাপারে আমিনপুর থানার ভারপাপ্ত কর্মকর্তা হারুনুর রশিদ বলেন, ‘স্কুলশিক্ষার্থীকে মারধর করার বিষয়ে তার বাবার কাছ থেকে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। এ ব্যাপারে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

শিক্ষা ব্যবস্থাপনায় ধর্মীয় শিক্ষা বাধ্যতামূলক করার দাবি - dainik shiksha শিক্ষা ব্যবস্থাপনায় ধর্মীয় শিক্ষা বাধ্যতামূলক করার দাবি কারিগরি শিক্ষকদের অক্টোবর মাসের এমপিওর চেক ছাড় - dainik shiksha কারিগরি শিক্ষকদের অক্টোবর মাসের এমপিওর চেক ছাড় সরকারি কর্মচারীদের ৯ দফা নির্দেশনা - dainik shiksha সরকারি কর্মচারীদের ৯ দফা নির্দেশনা স্কুল-কলেজে বেতন ছাড়া সব ফি বেঁধে দিলো সরকার - dainik shiksha স্কুল-কলেজে বেতন ছাড়া সব ফি বেঁধে দিলো সরকার সব শিক্ষকের স্বার্থ সংরক্ষণ করে বদলির নীতিমালা : সাক্ষাৎকারে শিক্ষা উপদেষ্টা - dainik shiksha সব শিক্ষকের স্বার্থ সংরক্ষণ করে বদলির নীতিমালা : সাক্ষাৎকারে শিক্ষা উপদেষ্টা ঢাবিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা রেখেই ভর্তি কার্যক্রম - dainik shiksha ঢাবিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা রেখেই ভর্তি কার্যক্রম ক্যামব্রিয়ানের বাশারকে গ্রেফতারের দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত - dainik shiksha ক্যামব্রিয়ানের বাশারকে গ্রেফতারের দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত শিক্ষক নিবন্ধন ভাইভা: অষ্টম দিনে যেসব প্রশ্নের মুখোমুখি - dainik shiksha শিক্ষক নিবন্ধন ভাইভা: অষ্টম দিনে যেসব প্রশ্নের মুখোমুখি কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করা কল্যাণের হবে না: ছাত্রদল সম্পাদক - dainik shiksha ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করা কল্যাণের হবে না: ছাত্রদল সম্পাদক দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক - dainik shiksha কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0029308795928955