সীতাকুণ্ড বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে শিক্ষক কর্তৃক যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত শিক্ষকের নাম হিমেল শর্মা রানা। তবে তিনি কোনো অনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত নয় বলে দাবি করেন। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ছাত্রীদের দু’টি গ্রুপ পক্ষে বিপক্ষে অবস্থানের কারণে বিদ্যালয়ে অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। গত দু’দিন ধরে ছাত্রীরা এ ঘটনার প্রতিকার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও প্রধান শিক্ষকের কার্যালয় ঘেরাও করে বিক্ষোভ করে আসছেন। অভিযুক্ত শিক্ষককে শ্রেণি পাঠদান থেকে বিরত রাখা হয়েছে। সহকারী কমিশনার (ভূমি)কে প্রধান করে ৩ সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন ইউএনও কে এম রফিকুল ইসলাম। এ ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও ভাইরাল হয়ে প্রচুর সমালোচনা হচ্ছে।
ইউএনও’র কাছে লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ওই বিদ্যালয়ের বাণিজ্য বিভাগের শিক্ষক হিমেল শর্মা রানা প্রায় ৮ বছর ধরে শিক্ষকতা করছেন। তিনি এর পাশাপাশি একটি কোচিং সেন্টার খুলে সেখানেও পাঠদান করাতেন।
সেখানে তিনি প্রায় সময় ছাত্রীদের ব্যাড টাচ ও খারাপ ইঙ্গিত দিতেন। ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. দিদারুল আলম জানান, অভিযুক্ত শিক্ষক বিদ্যালয়ের একজন অতিথি শিক্ষক। তার বিরুদ্ধে অষ্টম শ্রেণির শাপলা শাখার এক ছাত্রীকে ব্যাড টাচের যে কথা বলা হচ্ছে এমন ঘটনা শ্রেণিকক্ষে হয়নি। ছাত্রীটি তার কোচিং সেন্টারেও পড়তো। পরে এ ঘটনা সম্পর্কে আমি অবগত হলে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ইউএনও’র নির্দেশে তাকে আপাতত শ্রেণি কার্যক্রম থেকে বিরত রেখেছি। এ বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক হিমেল শর্মা রানা বলেন, আমি কোনো ছাত্রীর সঙ্গে খারাপ আচরণ করিনি। আমি সুনামের সহিত একটি কোচিং সেন্টার পরিচালনা করে আসছি দীর্ঘদিন ধরে। আমার সুনাম ক্ষুণ্ন করার জন্য আমরাই কিছু সহপাঠী এমন অপবাদ রটিয়েছেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার কেএম রফিকুল ইসলাম বলেন, ছাত্রীদের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে এসিল্যান্ড আলাউদ্দিনকে প্রধান করে অপর দুই শিক্ষা অফিসারের সমন্বয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। তারা আগামী ৩ কার্যদিবসের মধ্যে রিপোর্ট দিবেন। রিপোর্ট অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।