সজীব আল মারুফ নামে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রীকে বিয়ের ফাঁদে ফেলে ধর্ষণের অভিযোগে উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে। এ ঘটনায় শিক্ষকের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার ভুক্তভোগী ছাত্রী বাদী হয়ে মামলাটি করে। শিক্ষক সজীব উপজেলার হাজিরহাট এলাকার লাইফ লাইন স্কুলের শিক্ষক এবং উপজেলার মিয়াপাড়া এলাকার আবুল বারাকাতের ছেলে।
মামলার এজাহার উল্লেখ করা হয়, ভুক্তভোগী ছাত্রীর সঙ্গে গত বছর সজীব কৌশলে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। একপর্যায়ে ২০২২ খ্রিষ্টাব্দের ৪ মে ভুয়া কাবিননামা করে ছাত্রীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলে সজীব। পরবর্তীতে ছাত্রী স্ত্রীর মর্যাদা দিতে চাপ দিলে সজীব কালক্ষেপণ করতে থাকে। এরই মধ্যে সজীব অন্যত্র বিয়ের উদ্যোগ নেয়। খবর পেয়ে গত ২৩ মার্চ ছাত্রীটি কাবিননামা নিয়ে সজীবের বাড়িতে যায়। এ সময় সজীব ও তার স্বজনরা ছাত্রীটিকে মারধর করে। পরে খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
এ বিষয়ে লাইফ লাইন স্কুলের পরিচালক মিজানুর রহমান বলেন, ছাত্রীর সঙ্গে এমন জঘন্যতম ঘটনা মেনে নেয়ার মতো নয়। ঘটনাটি প্রকাশ হওয়ার পর সজীবকে শিক্ষকের পদ থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন তিনি।
কমলনগর থানার ওসি মোহাম্মদ সোলাইমান জানান, এ বিষয়ে তিনি এখনও আদালতের কোনো নির্দেশনা হাতে পাননি।