রাজধানীর মিরপুর গার্লস আইডিয়াল ল্যাবরেটরি ইনস্টিটিউটের আহমদ উল্লাহ কাসেমী নামে শিক্ষকের বিরুদ্ধে ওই প্রতিষ্ঠানের এক শিক্ষিকাকে যৌন হয়রানি করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ওই শিক্ষিকা ২৬ আগস্ট বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক ও ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতির কাছে লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন। অভিযুক্ত আহমদ উল্লাহ ওই বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক। তিনি ধর্মের শিক্ষক হিসাবে দায়িত্বে আছেন।
অভিযোগে ওই শিক্ষিকা জানান, ২৩ আগস্ট সকাল ৯টার দিকে ক্লাসে যেতে ৫-৭ মিনিট দেরি হওয়ার অজুহাতে আহমদ উল্লাহ আমাকে তার অফিস কক্ষে ডেকে নিয়ে দেড় ঘণ্টা আটকে রাখেন। এরপর হয়রানিমূলক আচরণ ও অসম্মানজনক কথাবার্তা বলেন। আমি সেখান থেকে চলে আসতে চাইলে তিনি জোর করে আটকে রাখেন। তিনি আমার মোবাইল ছিনিয়ে নেন। একপর্যায়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে তিনি আমার সঙ্গে খোশগল্প শুরু করেন ও আমাকে স্পর্শ করার চেষ্টা করেন। তার গল্পের ধরন অমার্জিত, রুচিহীন এবং নোংরা ইঙ্গিতপূর্ণ। তার আচরণে আমি স্পষ্টতই অনুমান করতে পারি দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে আমাকে যৌন হয়রানি করা। আমি তাকে এই সুযোগ দেইনি দেখে ফের উচ্চস্বরে কটূক্তি করেন।
শিক্ষিকা বলেন, এ ঘটনার পর আমি মানসিকভাবে ভেঙে পড়ি। কয়েকবার আত্মহত্যা করতে চেয়েছিলাম। পরকাল ও পরিবারের কথা চিন্তা করে এ সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছি। আহমদ উল্লাহ বিদ্যালয়ে অনেক প্রভাবশালী। বিষয়টি জানাতে আমি মিরপুর মডেল থানায়ও গিয়েছি। কিন্তু কুচক্রী মহল বিষয়টি ধামাচাপা দিতে উলটো আমাকে হেনস্তা করার চেষ্টা করছে।
অভিযুক্ত শিক্ষক আহমদ উল্লাহ বলেন, এ ঘটনার সঙ্গে আমার ন্যূনতম সম্পর্ক নেই। এটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও বানোয়াট। এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি হয়েছে। তদন্তে সব প্রমাণিত হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এই প্রতিষ্ঠানের সভাপতি ঢাকা মহানগর উত্তর মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। তার প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে এই ধরনের ঘটনা নিয়ে প্রতিবেদন না করার জন্যও তিনি প্রতিবেদককে পরামর্শ দেন।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা জিনাত ফারহানা বলেন, তদন্ত চলমান। বিস্তারিত পরে জানা যাবে।