চার বছরের বেশি সময় ধরে অবৈধভাবে বসবাস করে আসা মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক মো. শাহেদুল খবির চৌধুরীকে সেই বাসাটি ছাড়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দের এপ্রিল মাস থেকে শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক পদে থাকলেও অবৈধভাবে স্বায়ত্ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বোর্ডের অফিসার্স কোয়ার্টার্সের ‘এ’ টাইপ বিল্ডিংয়ে বসবাস করে আসছিলেন। কোনো বিলও পরিশোধ করেননি। তাই সব পাওনা শোধ করে বাসাটি খালি করতে অধিদপ্তরের পরিচালককে নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা বোর্ড।
গত ১৩ জুন পরিচালককে বাসা ছাড়ার নির্দেশ দেয়ার ৪১ দিন পর গতকাল সোমবার পর্যন্ত তিনি ওই বাসাটি ব্যবহার করছেন বলে দৈনিক আমাদের বার্তাকে নিশ্চিত করেছে বোর্ড সূত্র।
জানা গেছে, ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের অফিসার্স কোয়ার্টার্সের ‘এ’ টাইপ বিল্ডিংয়ের একটি কক্ষে বসবাস করেন শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক ও বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির সভাপতি অধ্যাপক মো. শাহেদুল খবির চৌধুরী। বোর্ড সংশ্লিষ্ট না হলেও বোর্ডের কোয়ার্টার ব্যবহার করছেন দীর্ঘদিন ধরে। ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দের ২৪ মার্চ অধিদপ্তরের কলেজ ও প্রশাসন উইংয়ের পরিচালক পদে পদায়ন পান। কিন্তু অবৈধভাবে গত চার বছর তিনি ওই বাসাতেই আছেন।
গত ১৩ জুন ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, বোর্ড ক্যাম্পাসে অবস্থিত অফিসার্স কোয়ার্টার্সের ‘এ’ টাইপ বিল্ডিংটি পিডাব্লিউডি পরিত্যাক্ত ঘোষণা করেছে। এ বিল্ডিংয়ে বাস করা ঝুঁকিপূর্ণ বিধায় বাড়ি ভাড়া ও বিভিন্ন ধরণের বকেয়া বিল পরিশোধ করে পরিত্যক্ত অবাসস্থলটি অবিলম্বে খালি করার জন্য বলা হলো।
এদিকে গতকাল সোমবার বিকেলে বোর্ড সূত্র দৈনিক আমাদের বার্তাকে জানায়, বাসা ছাড়ার নির্দেশ দেয়া হলেও তা মানেননি পরিচালক। তিনি এখনো (গতকাল সোমবার) বাসাটি ব্যবহার করছেন।
বিষয়টি নিয়ে মন্তব্য জানতে অধিদপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক মো. শাহেদুল খবির চৌধুরীর সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কোনো সাড়া মেলেনি।