মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর, বিভিন্ন সরকারি স্কুল-কলেজ ও বিভিন্ন শিক্ষা অফিসের পাঁচটি পদের পদবি ও বেতনস্কেল বদলে যাচ্ছে। এসব প্রতিষ্ঠানের প্রধান সহকারী, উচ্চমান সহকারী, হিসাবরক্ষক, সাঁটলিপিকার কাম কম্পিউটার অপারেটর ও কম্পিউটার অপারেটর ও সমমান পদের পদবি প্রশাসনিক কর্মকর্তা, হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা ও ব্যক্তিগত কর্মকর্তা করা ও এসব পদের বেতনস্কেল উন্নীত করার প্রস্তাব করা হয়েছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তে ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় এ প্রস্তাব পাঠিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর।
গতকাল রোববার সন্ধ্যায় মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ দৈনিক আমাদের বার্তাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, দীর্ঘদিন শিক্ষা অধিদপ্তর, অফিস ও সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উচ্চমান সহকারী, প্রধান সহকারী, হিসাবরক্ষক, সাঁটলিপিকার ও সমমানের পদগুলোর পদবি ও বেতনস্কেল পরিবর্তন করে সচিবালয়ের মতো প্রশাসনিক কর্মকর্তা, হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা ও ব্যক্তিগত কর্মকর্তা করা এবং বেতনস্কেল বাড়ানোর দাবি জানাচ্ছিলেন কর্মচারীরা। এ দাবি বাস্তবায়নে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা কর্মচারী কল্যাণ পরিষদ মানববন্ধন, কালোব্যাজ ধারণসহ নানা কর্মসূচি পালন করেছেন। অবশেষে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় এ পদগুলোর পদবি পরিবর্তনের প্রস্তাব শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠালো শিক্ষা অধিদপ্তর।
জানতে চাইলে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ দৈনিক আমাদের বার্তাকে বলেন, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় নির্দেশনা মোতাবেক মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের প্রধান সহকারী, উচ্চমান সহকারী ও সমমান পদ ও হিসাব কোষের কর্মচারীদের বেতন স্কেল উন্নীত করার জন্য চিঠি পাঠিয়েছিলো শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সে মোতাবেক প্রস্তাব শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
জানা গেছে, গত ৭ ফেব্রুয়ারি মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিবের কাছে এ প্রস্তাব পাঠায় শিক্ষা অধিদপ্তর। দুই প্রস্ত প্রস্তাবনায় প্রধান সহকারী, উচ্চমান সহকারী, হিসাবরক্ষক, সাঁটলিপিকার কাম কম্পিউটার অপারেটর ও কম্পিউটার অপারেটর ও সমমান পদের পদবি প্রশাসনিক কর্মকর্তা, হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা ও ব্যক্তিগত কর্মকর্তা করা ও এসব পদের বেতনস্কেল উন্নীত করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
জানতে চাইলে কর্মচারী পরিষদের মহাসচিব মো. বেল্লাল হোসেন দৈনিক আমাদের বার্তাকে বলেন, কর্মচারীরা দীর্ঘদিন পর্যন্ত পদবি ও বেতন বৈষম্যের শিকার। সরকার বিভিন্ন সময়ে উদ্যোগ গ্রহণ করে সচিবালয়সহ বিভিন্ন দপ্তরের পদবি ও বেতনগ্রেড পরিবর্তন করলেও মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের কর্মচারীরা এ থেকে বঞ্চিত ছিলেন। সরকার কর্মচারীদের দীর্ঘদিনের দাবিটি বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করায় ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
জানতে চাইলে কর্মচারী পরিষদের সভাপতি সঞ্জয় কুমার বনিক ও মহাসচিব মো. বেল্লাল হোসেন দৈনিক আমাদের বার্তাকে বলেন, কর্মচারীরা দীর্ঘদিন পর্যন্ত পদবি ও বেতন বৈষম্যের শিকার। সরকার বিভিন্ন সময়ে উদ্যোগ গ্রহণ করে সচিবালয়সহ বিভিন্ন দপ্তরের পদবি ও বেতনগ্রেড পরিবর্তন করলেও মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের কর্মচারীরা এ থেকে বঞ্চিত ছিলেন। আমরা পদবি পরিবর্তনের আবেদন জানিয়েছিলাম। সরকার কর্মচারীদের দীর্ঘদিনের দাবিটি বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করায় ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।