মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও সেসিপ প্রকল্পের একজন উপপরিচালকের মদতে ১৮০ কোটি টাকা লোপাট হওয়ার জোর অভিযোগ উঠেছিলো ২০২১ খ্রিষ্টাব্দে। সেসিপ প্রকল্প, ঠিকাদারি, ফ্লোরা টেলিকম লিমিটেড, বাংলাদেশ সাইন্স হাউজ (জেভি), নিম্নমানের সফটওয়্যার ইত্যাদি খাতে গুরুতর এই দুর্নীতি হয়েছিলো বলে নানা তথ্য-প্রমাণও পাওয়া যাচ্ছিলো। বিষয়টি নিয়ে তখন চিঠি চালাচালি আর ফাইল ওঠানামাও নেহায়েত কম হয়নি। একটি চিঠিতে সরাসরি বলা ছিলো, ‘সরকারের আর্থিক ক্ষতি হয়েছে, বিদেশীদের নিকট বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে।’
কেনাকাটায় দুর্নীতির বিষয়ে সর্বশেষ শোকজ চিঠিটি দেয়া হয়েছিলো শিক্ষার ডিজি ও সেসিপ ডিডিকে। তাদের জবাবে সন্তুষ্ট হতে পারেননি মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের তৎকালীন সিনিয়র সচিব মো. মাহবুব হোসেন [বর্তমানে মন্ত্রিপরিষদ সচিব]। ওই অ্যাকশনের ধারাবাহিকতায় ২০২১ খ্রিষ্টাব্দের নভেম্বরে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আ ন ম তরিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত একটা ইউ. ও. নোট। তাতে দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা রুজুর আদেশ ছিলো।
শিক্ষার মহাপরিচালক অধ্যাপক সৈয়দ গোলাম ফারুক ও সেসিপের উপপরিচালক শামসুন্নাহারসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার জন্য দুদকে চিঠিও লিখেছিলেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মাহবুব হোসেন। বিষয়টি নিয়ে দৈনিক শিক্ষাডটকমে কয়েকটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয় তখন। শিক্ষা প্রশাসনেও চলে তুমুল শোরগোল। কিন্তু, কিছুতেই কিছু হয়নি। একসময় প্রসঙ্গটিই ধামাচাপা পড়ে যায়। মাউশি অধিদপ্তরের সেই দাপুটে ডিজি অধ্যাপক সৈয়দ গোলাম ফারুক এখন বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (বিপিএসসির) প্রভাবশালী সদস্য। অনেকেই তাকে প্রতিষ্ঠানটির হর্তাকর্তা বলে থাকেন।
সম্প্রতি আলোচিত সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন তখনকার দুটি চিঠি তার ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে একটা প্রশ্ন করেছেন। তার সেই স্ট্যাটাসে নতুন তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। নতুন করে সামনে এসেছে সেসিপ প্রকল্পের কেনাকাটায় বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তা ও ডিজি সৈয়দ গোলাম ফারুক ও অন্যদের দুর্নীতির খতিয়ান। এ নিয়ে অচিরেই আরো খবর প্রকাশিত হবে দৈনিক আমাদের বার্তায়।