বাজটে শিক্ষা উপকরণের দাম বাড়ানোর যে প্রস্তাব করা হয়েছে বাজেট পরবর্তী আলোচনায় তা না বাড়ানোর দাবি তোলা হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।
তিনি বলেন, ‘বাজেট পরবর্তী আলোচনায় শিক্ষা উপকরণের দাম না বাড়ানোর দাবি তোলা হবে। বাজেট বরাদ্দ ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে। তবে চলতি বছরে জিডিপির হারে শিক্ষা খাতে বরাদ্দ কম। কিন্তু আমাদের যে মেগা প্রজেক্টগুলো চলছে, সেগুলোর কাজ শেষ হলে আমি বিশ্বাস করি শিক্ষা খাতে মেগা প্রকল্পের কাজ শুরু করা যাবে। শিক্ষাই হবে আমাদের মেগা প্রজেক্ট।’
গতকাল শনিবার দুপুরে চাঁদপুরের আল আমিন একাডেমি স্কুল অ্যান্ড কলেজের বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের এখন চ্যালেঞ্জ হলো আমাদের যে বরাদ্দ, সেটাকে সঠিকভাবে কাজে লাগানো। আরো যেটি দরকার, সেটি হচ্ছে- গবেষণা। গবেষণায় এবারো থোক বরাদ্দ রাখা হয়েছে। আমি বিশ্বাস করি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো গত বছরে এবং বিগত দিনে তাদের বরাদ্দ কাজে লাগাতে পারেনি। এ বছর তারা বরাদ্দ কাজে লাগাবে বলে আমরা আশা করছি। একই সঙ্গে আমরা গবেষণা ও উদ্ভাবনে এগিয়ে যাব।’
দীপু মনি বলেন, বাজেটে শিক্ষা উপকরণের ক্ষেত্রে বল পেনের দাম বাড়ানোর একটি প্রস্তাব রয়েছে। এ বিষয়ে আলোচনা হবে। আমি আশা করি, সেই আলোচনায় আমাদের প্রস্তাব থাকবে, যেন কলমের দাম না বাড়ানো হয়।
তিনি বলেন, ‘শিক্ষায় আমাদের যে লক্ষ্য, বঙ্গবন্ধু কন্যা আমাদের যেটি ঠিক করে দিয়েছেন বঙ্গবন্ধুর দেখানো পথে। আমরা দক্ষ, যোগ্য, সৃজনশীল মানুষ তৈরি করব, যারা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলবে। আমরা নতুন শিক্ষাক্রম তৈরি করেছি, টেকসই প্রযুক্তি ব্যবহার করছি, আমরা অবকাঠামোগত উন্নয়ন করছি এবং সবচেয়ে জরুরি যেটি-শিক্ষক প্রশিক্ষণ, সেটিও আমরা ব্যাপকভাবে করছি।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো. ইউসুফ গাজী, ডা. জে আর ওয়াদুদ টিপু, সাংগঠনিক সম্পাদক তাফাজ্জল হোসেন এসডু পাটওয়ারী, চাঁদপুর সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম নাজিম দেওয়ান, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপিকা মাসুদা নুর, চাঁদপুর পৌরসভার প্যানেল মেয়র মোহাম্মদ আলী মাঝি, ফরিদা ইলিয়াছসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা।