শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির ক্ষেত্রে বৈবাহিক অবস্থার তথ্য জানতে চাওয়া অসাংবিধানিক ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। এসংক্রান্ত রিটের রুল আংশিক মঞ্জুর করে আজ বৃহস্পতিবার বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি মো. খাইরুল আলমের বেঞ্চ এই রায় দেন। ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশ গুপ্ত বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির ক্ষেত্রে বৈবাহিক অবস্থা জানতে চাওয়া কেন অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে ২০১৭ খ্রিষ্টাব্দের ১১ ডিসেম্বর রুল জারি করেন হাইকোর্ট। ওই রুল নিষ্পত্তি করে আজ রায় দেওয়া হয়।
২০১৪ খ্রিষ্টাব্দের ১৪ নভেম্বর একটি জাতীয় দৈনিকে ‘মেয়েটি এখন কী করবে?’ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে তা যুক্ত করে হাইকোর্টে রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের দুই আইনজীবী। ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৩ খ্রিষ্টাব্দের ৬ জুন দশম শ্রেণিতে পড়ার সময় ধর্ষণের শিকার হন তরুণী।
পরবর্তী সময়ে তরুণী সন্তান জন্ম দেন। ধর্ষকের যাবজ্জীবন সাজাও হয়। তবে তিনি নার্সিং কলেজে ভর্তি হতে গিয়ে বিপাকে পড়েন। বিয়ে না করলেও সন্তান থাকায় তাঁকে বিবাহিত নারী হিসেবে গণ্য করা হয়। অথবা ফরমে তাঁকে স্বামী পরিত্যক্তা লিখতে বলা হয়। যদিও মেয়েটি কোনো দলেই পড়েন না। এরপর তিনি ভর্তি হতে না পারার বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে রিট করেন দুই আইনজীবী। এতে রুল জারির পাশাপাশি ওই মেয়েকে নার্সিং কলেজে ভর্তির সুযোগ দিতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।