দৈনিক শিক্ষাডটকম ডেস্ক: সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব সরস্বতী পূজা আজ। এ পূজা বিদ্যা ও সঙ্গীতের দেবী সরস্বতীর আরাধনাকে কেন্দ্র করে অনুষ্ঠেয় একটি অন্যতম ধর্মীয় উৎসব। তিথি অনুযায়ী সকাল থেকেই পূজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে। প্রথমে পুষ্পাঞ্জলি, এরপর প্রসাদ বিতরণ করে নানা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শেষ হয় এ পূজা।
শাস্ত্রীয় বিধান অনুসারে, মাঘ মাসের শুক্লাপঞ্চমী তিথিতে সরস্বতী পূজা অনুষ্ঠিত হয়। এ তিথি বসন্ত পঞ্চমী নামেও পরিচিত। বাংলাদেশে বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্যে দিয়ে বিদ্যা ও শিল্পকলার দেবী সরস্বতীর পূজা হয়ে থাকে। সারা দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এ পূজা অনুষ্ঠিত হয়।
পূজা উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।
বিদ্যার দেবী সরস্বতীর আরাধনায় কমতি রাখেন না ভক্তরা। এবারও দেবীকে আরাধনার পুরোদস্তুর প্রস্তুত হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) জগন্নাথ হল।
সকাল থেকেই দেবীর আরাধনায় মাতবেন ভক্তরা। জগন্নাথ হল প্রশাসন জানায়, মাঠে ৬৯টি, কেন্দ্রীয়ভাবে ১টি, হলের পুকুরে ১টি ও কর্মচারীদের ১টিসহ মোট ৭২টি মণ্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হবে।
পূজায় ধর্মবর্ণ নির্বিশেষে সবাইকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে জগন্নাথ হল। এজন্য বেশ কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থাও নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
হল প্রাধ্যক্ষ ড. মিহির লাল সাহা বলেন, আমাদের পূজায় সবার আমন্ত্রণ। আমাদের পূজা চলবে দুপুর ১টা পর্যন্ত। এরপর আমাদের আয়োজনে থাকবে বাঙালি উৎসব। এজন্য আমরা সবার সার্বিক সহযোগিতা চাই।
হলের মাঠে নিজ বিভাগের মণ্ডপের কাজ তদারকি করছিলেন লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউটের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী বাদল বিশ্বাস। তিনি বলেন, এই আয়োজনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট থাকতে পেরে সত্যি ভালো লাগছে। আমাদের কাল ৯টা থেকে ১১টা পর্যন্ত পুষ্পাঞ্জলি, এরপর প্রসাদ বিতরণ।
জগন্নাথ হল ছাড়াও ঢাকার বেশ কয়েকটি জায়গায় সরস্বতী পূজা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, ঢাকেশ্বরী মন্দির, রমনা কালী মন্দির। এছাড়া এবার জাতীয় প্রেসক্লাবেও পূজা অনুষ্ঠিত হবে।
সরস্বতী বৈদিক দেবী হলেও সরস্বতী পূজা বর্তমান রূপটি আধুনিককালে প্রচলিত হয়েছে। তবে প্রাচীনকালে তান্ত্রিক সাধকেরা সরস্বতী-সদৃশ দেবী বাগেশ্বরীর পূজা করতেন বলে জানা যায়।