শিক্ষা শিশুর অধিকার - দৈনিকশিক্ষা

শিক্ষা শিশুর অধিকার

গুরুদাস ঢালী |

সন্তান জন্মায়, সুসন্তান জন্মায় না। সন্তানকে সুসন্তান হিসেবে গড়ে তোলেন তাদের পিতা-মাতা। এই সন্তানকে সুসন্তান হিসেবে পরিণত করতে পিতা-মাতাকে সুদীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে হয়। এই পথকে বিভিন্ন বিজ্ঞানী বিভিন্নভাবে বিভাজিত করেছেন। কেউ কেউ শিশুর জন্মের পর থেকে এক হাজার দিনের কথা বিশদভাবে আলোচনা করেছেন, কেউ প্যারেন্টিংয়ের কথা বলেছেন। আবার শিশুর জীবনকালকে বয়সের মধ্যে ভাগ করে আলাদা আলাদা করে বিকাশ ও উত্থানকে আলোচনার মধ্যে প্রাধান্য দিয়েছেন। সমাজ বিজ্ঞানী, মনোবিজ্ঞানী, শিশুবিদ ও শিশু মনোবিজ্ঞানীসহ আরো অনেকে শিশুর জীবনধারাকে বিভিন্নভাবে আলোচনা করেছেন। কিন্তু মানব শিশুর মস্তিষ্ক অপরিসীম সম্ভাবনাপূর্ণ যন্ত্রটির ব্যবহারে অতিমানব বলে গণ্ডিবদ্ধ করা সম্ভব হয়নি।


   
গতানুগতিক চিন্তাধারার মাধ্যমে প্রচলিত শিক্ষাব্যবস্থার ধারণা নিয়ে যুগের পরে যুগ যে নিয়ম কানুন শ্রেণিবদ্ধ কাঠামোতে প্রচলিত হয়ে আসছে সেখানে শিশুর নিজস্ব প্রতিভা বা সত্তা বলে কিছু খুজে পাওয়া না গেলে ও প্রেষণের মাধ্যমে চাপিয়ে দেয়া নীতিমালা প্রতিনিয়ত দৃশ্যমান, যা অভিভাবক, শিক্ষক, সমাজ ও রাষ্ট্র প্রতিনিয়ত শিশুকে এক ধরনের  চিত্রকর বা অভিনেতা হিসেবে খোঁজে। শিশুর নিজের সত্তাকে কখনো অনুধাবন করার প্রয়াস করে না। আমরা ভুলে যাই, শিশুর মন আছে, একটা ভাবনার নিজস্ব ভুবন আছে। নিজেদের জানান দেয়ার জন্য শিশুর অধিকার ক্ষুণ্ন করে মানসিক বোঝা সৃষ্টি করতে আমরা কুণ্ঠাবোধ করি না। শিশুর উপভোগ্য শৈশব-কৈশোর হারিয়ে যায় তাকে না বোঝার অক্ষমতার কাছে।

শিশু একটা রহস্যময় প্রতিবিম্ব আছে, যার পরতে পরতে শুধু বিস্ময় বিদ্যমান। এই রোমাঞ্চকর অধ্যায়ের বিকাশের জন্য নিজেকে বিস্ময় অভিলাষী মন-মানসিকতা তৈরি করতে হবে। শিশুর বিকাশে প্রথম এক হাজার দিনের কথা অনেক জোর দিয়ে বললেও পুষ্টিকর খাবার আর পিতা মাতার অভিভাবকত্বের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে। বিয়ে হয়েছে, ঘরে সন্তান আসবে। পরিবারে সবার সঙ্গে সেও বড় হবে। সেকেলে ধারণার সঙ্গে মিসে গিয়ে উপেক্ষিত থেকে যায় শিশুর সঠিক বিকাশ। 

শিশু যেকোনো বিষয়ে কম বুঝতে পারে বা বুঝতে চায় না, তাকে আমরা মেধাহীনতা বা কমবুদ্ধিসম্পন্ন বা নির্বুদ্ধিতার তিলক পরিয়ে দিই। কিন্তু ভাবি না যে শিশু যেকোনো বাধা ধরা পদ্ধতিতে শেখে না। শিশুকে শেখানোর জন্য শিক্ষককে ভিন্ন ভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করতে হয়। শিশুর শিক্ষার বিভিন্ন বিষয়ে আপনি পারদর্শী হতে পারেন কিন্তু সার্থক শিক্ষাগুরু হতে গেলে সবার আগে আপনাকে শিক্ষকের তকমা ঝেড়ে ফেলে দিতে হবে। শিশুর আত্মার আত্মীয় হতে হবে, বন্ধু হতে হবে, সজীব প্রাণবন্ত ও কৌতূহলী মানুষ হিসেবে নিজেকে দাঁড় করাতে হবে। তবেই আপনি শিক্ষাগুরুর আসনে অধিষ্ঠিত হতে পারবেন। ‘তুমি রবে নীরবে হৃদয়ে মম’।

একটি বাস্তব উদাহরণ উপস্থাপন করা যেতে পারে। শহরের একটি শিশু। বয়স ৭ বছর। কিন্টারগার্টেন স্কুলে প্রথম শ্রেণিতে পড়েন। তার স্কুল শুরু হয় সকাল ৮টায়, শেষ হয় ১০টায়। প্রতিদিন স্কুল থেকে এসে সকালের খাবার খেয়ে পাশের বাসার বন্ধুর সঙ্গে খেলতে যায়। সাম্প্রতিক বিভিন্ন গুজবের কারণে শিশুকে আর অযাজিতভাবে বাইরে তেমন বের হতে দেয়া হয় না। ছোট সংসারে মাঝে মাঝে শিশুটি বড্ড একা হযে যান। ঘরে অনেক খেলার জিনিসপত্র থাকলে ও শিশুকে বলতে ‘শুনি তুমি আমাকে আটকে রাখো কেনো। আমাকে ছেড়ে দাও আমি খেলতে যাব’। ফুটবল তার প্রিয় খেলা। মাঝে মাঝে সে সিঁড়িতে ফুটবল নিয়ে খেলে। সেখানেও মানা। সিঁড়িতে মানা, রাস্তায় মানা, বন্ধুদের সঙ্গে মিশতে মানা। 

এবার অভিনব বুদ্ধিটা তার থেকে শোনা। ‘মা যখন ঘরের মধ্যে খেলা বন্ধ করে দিলেন, আমার মাথায় একটা বুদ্ধি এলো। আমি যদি মায়ের একটা ওড়না বলের সঙ্গে পেঁচিয়ে নিই, তাহলে তো আর শব্দ হবে না। এখন আমি বলে ওড়না পেঁচিয়ে, সেটাই নিয়মিত খেলি। আমার খেলা ও হয় আবার শব্দও হয় না। 

আমাদের স্কুলগুলোতে ও তেমন কোনো খেলার মাঠ নেই। আবার খেলার মাঠ থাকলেও অতিরিক্ত লেখা পড়ার বাহানা ও দোহাই দিয়ে তা শেষ করে দেয়া হয়। অনেক আলোচনা, গবেষণা পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দেখা গেছে শিশুর বিকাশে অনেকটা বিস্তরণ ঘটে খেলার মাধ্যমে। স্কুলগুলোতে যখন খেলাধুলার কথা আসে, আমরা শুধু ফুটবল খেলার কথা ভাবি। এর বাইরে যে আরো অনেক খেলা আছে যেগেুলো শ্রেণিকক্ষে বা ঘরে বসে খেলা যায় তা আমরা ভুলে যাই। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বছরে দুইবার খেলার আয়োজন করা। আর কখনো কোনো আয়োজন হয় বলে আমার জানা নেই। কিন্তু কর্তৃপক্ষ ইচ্ছা করলে সপ্তাহে একদিন নিয়ম করে কো-কারিকুলাম অ্যাকটিভিটি হিসেবে বিভিন্ন খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বা ইতিহাস, বিজ্ঞান, সাহিত্য নিয়ে গল্প বলার আসরের  আয়োজন করতে পারে।

শিশুর বৈচিত্র্যময় জীবনের অনেকগুলো বৈশিষ্ট্যে মধ্যে একটা বিশেষ বৈশিষ্ট, নতুন নতুন বিষয় জানার। অনেকে হয়ত খেয়াল করতে পারেন শিশু যখন তার পরিচিত কারোর সঙ্গে বেড়াতে বের হয় বিভিন্ন প্রশ্ন করতে থাকে এবং সেগুলোর উত্তরও দিতে হয়। আমাদের শিক্ষায় শিশুকে প্রশ্ন করতে উৎসাহিত করা এবং উত্তর বুঝিয়ে দেয়ার মধ্যে বিস্তর ফারাক বিদ্যমান। শিক্ষাদাতা আর গ্রহিতার চোখের ভাষায় যদি ভালোবাসা মমতা হৃদ্যতা না থাকে তাহলে শিশুশিক্ষা গ্রহণে উৎসাহ হারিয়ে ফেলবে। আস্তে আস্তে সে শিক্ষা থেকে হারিয়ে যাবে। শিশু তার অধিকার থেকে বঞ্চিত হবে। 
যেকোনো শিক্ষণ-শিখন কার্যক্রমের সঙ্গে যেমন প্রত্যক্ষভাবে পাঠ্যবিষয়/পাঠ্যবই, শ্রেণিকার্যক্রম, পাঠটিকা যুক্ত তেমনি পরোক্ষভাবে পাঠ্যক্রম ও পাঠ-পরিকল্পনার প্রয়োজন। শিশুর পাঠদান, শিশুদের শিক্ষণ-শিখন কার্যক্রমের অপর নাম শিশুর পাঠদান। শিশুকে কীভাবে পড়ালে পাঠদান ফলপ্রসূ হবে তা নিয়ে মনোবিজ্ঞানী ও শিক্ষাবিদরা অনেক গবেষণা করেছেন, করছেন এবং ভবিষ্যতেও করবেন। 
শিশুর পাঠদান পদ্ধতির একটা অংশ টিকা প্রণয়ন। একজন শিক্ষকের প্রতিদিন প্রায় ৫-৬টা ক্লাস থাকে। ক্লাসের বাইরেও তাকে ক্লাসের পরীক্ষা মূল্যায়ন ও বাড়ির কাজ দেখতে হয়। তার ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও সামাজিক কাজও থাকে। কাজেই তার পক্ষে প্রতিটি বিষয়ের পাঠ করা কষ্টকর। এজন্য তিনি একটা ডায়েরি বা নোটবুক রাখেন। তাতে প্রয়োজনীয় নোট করেন।  তারিখ, শ্রেণি, বিষয়, প্রদত্ত পাঠ্যাংশ, শিখনফল, উপকরণ, মূল্যায়নের প্রশ্ন, ব্যবহারিক/প্রদর্শন কার্য। পাঠটিকা অনুযায়ী শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের প্রতিনিয়ত কিছু কাজ করতে হয়। যেমন-যে শ্রেণির ক্লাসই হোক না কেনো, শিক্ষক পড়ানোর জন্য পূর্বপ্রস্তুতি নেবেন। শিক্ষার্থীদেরও পূর্বপ্রস্তুতি নেয়ার জন্য জোর তাগিদ দেবেন। বিগত পাঠ শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের ডায়েরিতে লেখা থাকবে। তদনুসারে সামনের পাঠের প্রস্তুতি নেবেন। শিক্ষার্থীদের বোঝানোর জন্য পাঠদানের পূর্বেই শিক্ষক পাঠ্য কয়েকবার পড়ে দুর্বোধ্য অংশ ভালোভাবে বুঝবেন। প্রয়োজনীয় শিখনবস্তু, শিখনকার্য ও শিখনফল নির্ণয় করবেন এবং  ধারাবাহিক মূল্যায়নের অংশ হিসেবে তা লিপিবদ্ধ করবেন।

পাঠটিকার মধ্য দিয়ে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পাঠদান শেষ করা সম্পর্কে তিনি নিশ্চিত হবেন। বাড়ির কাজ, হাতের লেখা, শ্রেণি পাঠ ও সৃজনশীল প্রশ্ন ইত্যাদির কোনো একটি শিশুদের অবশ্যই দেবেন। এতে শিশুরা লেখা ও গঠনমূলক কাজে অভ্যস্ত হবে। তাদের হাতের লেখা সুন্দর হবে এবং বানান শুদ্ধ হবে। শিক্ষার্থীও আগামী ক্লাসের প্রস্তুতি আগেভাগে নিলে সে নিজ থেকে পাঠ্য অনেকখানি বুঝতে পারবে। সে নিজ সামর্থের ওপর শ্রদ্ধাশীল হয়ে উঠবে। বাকি যেটুকু বুঝতে পারবে না তা তার হিসেবে থাকবে। শিক্ষকের পাঠদানের সময় সে তার না বোঝা স্থানে শিক্ষক কী বলেন তা বুঝতে চেষ্টা করবে। বুঝতে পারলে আর প্রশ্নের দরকার নেই। নতুবা প্রশ্ন করে জেনে নিতে পারবে। এভাবে তার পড়া পূর্ণতা পাবে। শিক্ষক তার প্রস্তুতকৃত পাঠটিকা ও ডায়েরি  অনুযায়ী শ্রেণিকার্যক্রম পরিচালনা করবেন এবং জ্ঞান, দক্ষতা, দৃষ্টিভঙ্গি ও মূল্যবোধের  ফলাবর্তনের শিখন মান উন্নয়ন করবেন।

বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থায় প্রাথমিক শিক্ষায় ১ম থেকে ৩য় শ্রেণি পর্যন্ত লিখিত কোনো পরীক্ষা বা মূল্যায়ন গ্রহণ করা হবে না। ধারাবাহিক মূল্যায়নের মাধ্যমে তাদের শিখন মানের উন্নয়ন পরিমাপ করা হবে এবং সে অনুযায়ী শিশু পরবর্তি শ্রেণিতে উন্নতি হবে। আমরা জানি শিশুর তিন বছরে বয়সের মধ্যে মস্তিষ্কের ৮০ শতাংশই গঠিত হয়ে যায়। তিন থেকে পাঁচ বছরের মধ্যে ৯০ শতাংশ পর্যন্ত মস্তিষ্ক গঠিত হয়। এই সময়টি শিশুদের শিক্ষা ও বিকাশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে বাকি জীবনের জন্য প্রয়োজনীয় বিষয়ের ভিত্তি এ সময়েই গড়ে ওঠে। তাই এ সময়ে কী শিখবে আর কীভাবে শিখবে তার ওপরই নির্ভর করে শিশুটির সাফল্যের সম্ভাবনা। আর এ কারণেই শিশুর পূর্ণ বিকাশ নিশ্চিত করতে বিশেষজ্ঞরা শৈশবের শিক্ষাকে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ মনে করেন।

অনেকের মতো আমিও চেয়েছিলাম ১ম থেকে ৩য় শ্রেণি পর্যন্ত মূল্যায়নে বিশেষ কিছু নির্দেশনা থাকবে। কিন্তু অত্যন্ত হতাশার বিষয় পুরানো সেই শিক্ষক ডায়েরিকে অবলম্বন করে শিক্ষার অত্যন্ত বিবেচ্য ও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়কে অবহেলায় পর্যবসিত হচ্ছে তা দেখতে হচ্ছে। প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষাদানে শ্রেণিকক্ষ ফুল দিয়ে সাজানো থাকলে ও শিশুর শিক্ষাজীবন সে ফুল ফোটাতে আমরা ব্যর্থ। অনেকে হয়ত স্বীকার না করলে স্পষ্টত যে দিনের পরে দিন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিশু অনান্য প্রতিষ্ঠানে চলে যাচ্ছে। শিক্ষার মান তলানিতে। দায় কার। শিক্ষাদান করা যেমন শিক্ষকের দায়িত্ব, তেমনি শিক্ষা গ্রহণ শিশুর অধিকার। আমরা তাদের কে সে অধিকার বঞ্চিত করতে পারি না।  শিশুর বেড়ে ওঠার বৈশিষ্ট্য অনেকে বিশ্লেষণ করেছেন এবং এটা স্পষ্ট যে শিশু সব ক্ষেত্রে অন্দোলিত হতে চায়। শিক্ষা গ্রহণে যখন তিনি আন্দোলিত হন না বা নিজের প্রত্যাশিত চাওয়া প্রকাশিত হয় না তখন সে শিক্ষা গ্রহণে আগ্রহ হারিয়ে নিজেকে অন্য জগতে নিয়ে যায় যার পরিণাম অত্যন্ত ভয়াবহ।

তাই আমাদের উচিত প্রতিটি শ্রেণির পাঠদান আনন্দময় করে তোলা। শিশুকে তার শিক্ষা গ্রহণে উৎসাহিত করা। শিশুর অধিকারকে প্রতিষ্ঠা করা। যেনো শিশু মানসম্মত শিক্ষা গ্রহণে নিজেকে সঁপে দেন। পরিবার, সমাজ, দেশ ও জাতিকে অনন্য চূড়ায় পৌঁছে দেয়।

লেখক: শিক্ষাসংশ্লিষ্ট উন্নয়ন সহযোগী সংস্থায় কর্মরত 
  

পাঠ্যবইয়ের কাগজের বার্স্টিং ফ্যাক্টর কমানোর ধান্দায় মুদ্রাকররা - dainik shiksha পাঠ্যবইয়ের কাগজের বার্স্টিং ফ্যাক্টর কমানোর ধান্দায় মুদ্রাকররা বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ না পাওয়া শিক্ষকদের তথ্য আহ্বান - dainik shiksha বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ না পাওয়া শিক্ষকদের তথ্য আহ্বান কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক - dainik shiksha কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে শিক্ষক শূন্যপদের তথ্য সংগ্রহে ফের ই-রেজিস্ট্রেশনের সুযোগ - dainik shiksha শিক্ষক শূন্যপদের তথ্য সংগ্রহে ফের ই-রেজিস্ট্রেশনের সুযোগ ববি উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে আল্টিমেটাম - dainik shiksha ববি উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে আল্টিমেটাম এসব কিন্তু শিক্ষার্থীদের কাজ নয় - dainik shiksha এসব কিন্তু শিক্ষার্থীদের কাজ নয় প্রাথমিকের দুই ফুটবল টুর্নামেন্টের নাম বদলে গেলো - dainik shiksha প্রাথমিকের দুই ফুটবল টুর্নামেন্টের নাম বদলে গেলো please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0054781436920166