দৈনিক শিক্ষাডটকম প্রতিবেদক: তাদের কারো সন্তান এইচএসসি পাস করেছে ১১/১২ বছর আগে। কারোর নিজের সন্তানই নেই। তবু এমন পিতা-মাতা দাবি করছেন তারা অভিভাবক। শুধু তাই নয় একটা প্রেস রিলিজ লিখে ফেসবুকে ঘোষণা দিয়েই তারা অভিভাবক ফোরাম নেতাও বনে যান। আর এসব ভুয়া অভিভাবকদের সাক্ষাতকার প্রচার করছে ভুইফোঁড় পত্রিকা, টিভি, ইউটিউবার, অনলাইন পত্রিকার নামধারী সাংবাদিক ও সংবাদপত্র ও টিভির পরিচয়পত্রধারী শিবিরের নেতা-কর্মীরা। এভাবে তারা শিক্ষাখাতে অপপ্রচার ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে চলছে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, অভিভাবক ফোরাম পরিচয়ে কোচিংয়ের বিরুদ্ধে রিট করে আবার রিট তুলে নেওয়ার কথা বলে সেই কোচিং সেন্টার থেকে লাখ লাখ টাকা চাঁদাবজি করা কতিপয় ব্যক্তি অভিভাবক ফোরামের ব্যানারে শিক্ষাখাতে সাম্প্রদায়িক বিষ ও অপপ্রচার করে চলছে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, অভিভাবক ফোরামের নামে ভিকারুননিসা ও আইডিয়াল স্কুলে চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ শিক্ষকরা। পত্রিকা ও টিভিতে নাম তুলে দেওয়া ও জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করার ভয় দেখিয়ে এসব স্কুলে ভর্তি তদবির করার অভিযোগ এসব ফোরামের বিরুদ্ধে। এডভোকেট আবেদ রাজা নামের সিলেটের একজন ২০০৬ খ্রিষ্টাব্দে এই অভিভাবক ফোরাম ব্যবসা শুরু করেন। পরে ঢাকাস্থ বরিশাল টাউট সমিতি, ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাসহ কয়েকজন ভবঘুরেও যোগ দেন। তারা নতুন নতুন দোকান খোলেন। টাকার বিনিময়ে শিক্ষাখাত নিয়ে অপপ্রচারসহ শিক্ষাখাতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিতে দায়ী তারা।
জানা যায়, ২০০৭-৮ খ্রিষ্টাব্দে নির্দলীয় সরকারের আমলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে বিএনপির কেন্দ্রীয় গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক সেলিম ভুইয়ার জাল সনদ। এছাড়া একে হাইস্কুল এন্ড কলেজে প্রায় ৫০ কোটি টাকা রাজধানীর বাংলামোটরে অটোপার্টসের ব্যবসায় ব্যবহারের অভিযোগে ৯ বছর আগে বরখাস্ত ও চার বছর আগে অবসরে যাওয়া এক নামধারী শিক্ষক নেতাকেও ব্যবহার করা হচ্ছে। ২০০৮ খ্রিষ্টাব্দে মন্ত্রণালয়ের তদন্তে প্রমাণিত হয় ওই নামধারী অধ্যক্ষের জাল সনদ। এসব কথিত অধ্যক্ষের ‘বাণী’ প্রচার করে অস্থিরতা তৈরি করা হচ্ছে।