দৈনিক শিক্ষাডটকম প্রতিবেদক : বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৪৪টি ‘অতিঝুঁকিপূর্ণ’ ভবন সাত দিনের মধ্যে খালি করার নির্দেশ দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর। এ ভবনগুলোর মধ্যে ৪২টি মাউশি অধিদপ্তরের অধীনে আর বাকি দুটি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের। অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. আ. খালেক এক আদেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানদের বলেছেন, রাজউকের তালিকায় থাকা বিভিন্ন স্কুল-কলেজের ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ ভবনগুলো মজবুত করতে হবে। আর ‘অধিক ঝুঁকিপূর্ণ’ ৪৪টি ভবন সাত দিনের মধ্যে খালি করে সিলগালা করে দিতে হবে অথবা ভেঙে ফেলতে হবে।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভবন ‘অধিক ঝুঁকিপূর্ণ’ বাড্ডা আলাতুন্নেছা উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ, সাভারের ভাকুর্তা সরকারি উচ্চবিদ্যালয়, নারায়ণগঞ্জের দেলপাড়া সরকারি উচ্চবিদ্যালয়, ঢাকা কলেজিয়েট স্কুল, দনিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ, মিরপুর-১ নম্বরের সরকারি বাঙলা কলেজ, নারায়ণগঞ্জের সরকারি কদম রসুল কলেজ, গাজীপুরের সরকারি কালীগঞ্জ শ্রমিক কলেজ, ডেমরার হায়দার আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজ, মিরপুর-১৩ নম্বরের হাজী আলী হোসেন উচ্চবিদ্যালয়, সূত্রাপুরের কবি নজরুল সরকারি কলেজ, গাজীপুরের কালীগঞ্জ আর আর এন পাবলিক উচ্চবিদ্যালয়, কেরানীগঞ্জ বালিকা স্কুল অ্যান্ড কলেজ, খিলগাঁও সরকারি উচ্চবিদ্যালয়, ঢাকার সায়েদাবাদের করাতিটোলা সি এম এস উচ্চবিদ্যালয়, নারায়ণগঞ্জ সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, নারায়ণগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজ, যাত্রাবাড়ীর শহীদ জিয়া বালিকা স্কুল অ্যান্ড কলেজ, সাভারের ভাকুর্তার শ্যামলনগর স্কুল অ্যান্ড কলেজ তেজগাঁও মডেল উচ্চবিদ্যালয়, কদমতলীর এ কে কে উচ্চবিদ্যালয় অ্যান্ড ব্রাইট কলেজ, বাড্ডার এ কে এম রহমতুল্লাহ বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ, আজিমপুরের অগ্রণী স্কুল অ্যান্ড কলেজ, গোড়ানের আলী আহমেদ স্কুল অ্যান্ড কলেজ, পল্টনের আরামবাগ উচ্চবিদ্যালয়, লালবাগের আনন্দময়ী বালিকা বিদ্যালয়সহ আরও কয়েকটি বিদ্যালয় রয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, ‘আরবান রেজিলিয়েন্স প্রকল্প : রাজউক অংশ’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় নিয়োজিত পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ঢাকা মহানগর উন্নয়ন প্রকল্প-ডিএমডিপি সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত বিভিন্ন সংস্থার মালিকানাধীন ‘অধিক ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলো ভেঙে ফেলার সুপারিশ করে। এর মধ্যে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের আওতাধীন রাজউকের তালিকায় থাকা ‘অধিক ঝুঁকিপূর্ণ’ ভবন ৪৪টি। ১৮ মার্চ এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে মাউশি, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়কে চিঠি দিয়েছিল মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ।