সমস্যা আছে সর্বত্রই। যেখানে সংকট আছে সেখানে সমাধানও আছে। তবে সমাধানের জন্য সংকটের মূল কারণ বের করা এবং ওই কারণ দুর করার উপরই সমাধান নির্ভর করে। শিক্ষাব্যবস্থার জাতীয়করণের সংকটের জন্য রাষ্ট্র ও সরকারের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পলিসি ও আন্তরিক সদিচ্ছা যেমন রয়েছে তেমনিভাবে ছাত্র, শিক্ষক ও অভিভাবকদের সচেতনতার অভাবও রয়েছে। আর্থিক সংকট এ ক্ষেত্রে বড় সমস্যা নয়, সমস্যা সদিচ্ছার। শিক্ষকদের আর্থিক নিরাপত্তা এবং সামাজিক মর্যাদা এবং সবার জন্য শিক্ষা নিশ্চিত করার জন্যই শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করণের দাবি।
ল্যাটিন ভাষার এডুক্যার শব্দ ইংরেজিতে এডুকেশন আর বাংলায় হলো শিক্ষা। এডুক্যার এর অর্থ চাষ আর এডুকেশনের বাংলা করা হয়েছে শিক্ষা, শিক্ষাদান, প্রতিপালন। শিক্ষা বস্তুগত বিষয় না হওয়ায় কাউকে দেয়া সম্ভব নয় তবে গ্রহণে সহায়তা করা যায়। সেইজন্য শিক্ষা বলতে আচরণের পরিবর্তনকে বোঝানো হয়। তবে আচরণের পরিবর্তনে ইতিবাচক এবং নেতিবাচক দুটিই হতে পারে। নেতিবাচক পরিবর্তনকে কুশিক্ষা আর ইতিবাচক পরিবর্তনকে সুশিক্ষা মনে করা হয়। শিক্ষার্থী এবং ব্যক্তির ইতিবাচক পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে দেশ-জাতির সামগ্রীক উন্নতি হবে, এটাই শিক্ষার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য।
বৃটিশ আমলে ১৯৪৪ খ্রিষ্টাব্দে সার্জেন্ট কমিশনও এ অঞ্চলে একটি অবৈতনিক সর্বজনীন ও বাধ্যতামূলক শিক্ষা বাস্তবায়নের প্রস্তাব দেয় এবং ৪০ বছরের মধ্যে ধাপে ধাপে বাস্তবায়নের প্রস্তাবও করে। ১৯৪৮ খ্রিষ্টাব্দের ১০ ডিসেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ মানবাধিকরের সর্বজনীন ঘোষণাপত্র যেখানে ধর্ম, বর্ণ, জাতীয়তার ভিন্নতা থাকা সত্ত্বেও সকল মানুষের অধিকার সম্পর্কে ৩০টি বিষয় অন্তুর্ভুক্ত করেছে। এর মধ্যে ২৬ ধারায় প্রত্যেকের শিক্ষালাভের অধিকার রয়েছে। অন্ততপক্ষে প্রাথমিক ও মৌলিক পর্যায়ের শিক্ষা অবৈতনিক হবে। প্রাথমিক শিক্ষা বাধ্যতামূলক হবে (বাংলাদেশে ১ম-৫ম শ্রেণি বাধ্যতামূলক হয়েছে ১৯৯০ খ্রিষ্টাব্দে)।
১৯৬৬ খ্রিষ্টাব্দের ৫ অক্টোবর ফ্রান্সের প্যারিসে জাতিসংঘভূক্ত দেশগুলোর আন্তঃসম্মেলনে সর্বজনীন মানবাধিকারের ঘোষণা (২৬ ধারা) বাস্তবায়নে নিম্নলিখিত সুপারিশ করেছিলো:
ক. শিক্ষকের মর্যাদা ও সম্মান নিশ্চিতকরণ খ. মাধ্যমিক স্তরে (বারো ক্লাস পর্যন্ত) একই প্রকার শিক্ষা চালু গ. শিক্ষার গুণগত মান নিশ্চিতকরণ ঘ. সবার জন্য সুযোগ সুবিধা পাওয়ার অধিকার ঙ. প্রশিক্ষণ, নিয়োগ ও পদোন্নতির সুব্যবস্থা চ. নারী শিক্ষকদের জন্য কর্ম উপযোগী পরিবেশ নিশ্চিত করা ছ. শিক্ষকদের অধিকার ও নিরাপত্তা বিধান করা জ. পেশাগত স্বাধীনতা/একাডেমিক ফ্রিডম নিশ্চিত করা এবং ঝ. পেশাগত শৃংখলা ভঙ্গের জন্য শাস্তির বিধান নিশ্চিত করা।
শিক্ষা নিয়ে সরকারের নীতিগত পলিসি
শিক্ষা বিষয়ে আন্তর্জাতিক সংস্থার নির্দেশনা স্বাধীনতাপূর্ব শিক্ষা আন্দোলন, ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জন নতুন সংবিধান নতুন রাষ্ট্রীয় পলিসি, সব মিলিয়ে ১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দে সংবিধানের চার মূলনীতি জাতীয়তাবাদ, গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র ও ধর্ম নিরপেক্ষতার আলোকে শিক্ষা পলিসি নির্ধারিত হয়। বঙ্গবন্ধু সরকারের আমলে বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও বিজ্ঞানী ড. কুদরত-ই খুদার নেতৃত্বে খুদা কমিশন গঠন করা হয়।
২০০০ খ্রিষ্টাব্দে মিলেনিয়াম ডেভলপমেন্ট গোল (এমডিজি) ঘোষণা করে। ১৫ বছর মেয়াদী, নির্ধারিত ৮টি লক্ষ্যের মধ্যে দ্বিতীয় লক্ষ্য সর্বজনীন প্রাথমিক শিক্ষা বাস্তবায়নের অঙ্গিকার করেছিলো। এ ক্ষেত্রে এনরোলমেন্টের হার বেড়েছে। ২০১৫ খ্রিষ্টাব্দের ২১ মে দক্ষিণ কোরিয়ার ইমচনে ১৫ বছর মেয়াদী বিশ্ব শিক্ষা ফোরামে ১৭টি লক্ষ্যের মধ্যে ৪ নং ধারায় সবার জন্য অন্তর্ভুক্তিমূলক ও সমতাভিত্তিক মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিতকরণ এবং জীবনব্যাপী শিক্ষার সুযোগ তৈরির সিদ্ধান্তে সকল দেশ অঙ্গিকারবদ্ধ হয়েছে এবং ১২ বছরের শিক্ষা রাষ্ট্রীয় অর্থায়নের কথা বলা হয়েছে।
শিক্ষায় অর্থায়ন
জাতিসংঘের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান ইউনেস্কো, বিশ্ব শিক্ষা ফোরাম, বঙ্গবন্ধুর নির্দেশনায় প্রতিষ্ঠিত কুদরাই-ই খুদা শিক্ষা কমিশন সর্বপরি ২০১০ খ্রিষ্টাব্দে প্রণীত জাতীয় শিক্ষানীতি এবং পরিকল্পনা কমিশনের সুপারিশের আলোকে শিক্ষা বাস্তবায়নে সবাই অর্থের প্রয়োজনীয়তা এবং বরাদ্দ সম্পর্কে সুপারিশ করেছিলেন। ইউনেস্কো প্রত্যেক দেশের জিডিপি’র ৭ শতাংশ, ৬ শতাংশ (ডাকার সম্মেলন-২০০৬), কুদরাত-ই খুদা শিক্ষা কমিশন আপাতত ৫ শতাংশ এবং পর্যায়ক্রমে ৭ শতাংশে উন্নীতকরণের প্রস্তাব করেছিলো। ১০ বছরের মধ্যেই (১৯৭৫-১৯৮৫) মধ্যেই শিক্ষা জাতীয়করণের প্রস্তাব করেছিলো (৩৫.১১) খুদা কমিশনের রিপোর্ট। ২০৩০ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে এসডিজি’র আলোকে শিক্ষা নিশ্চিত করতে এখন থেকেই জিডিপির ৪ দশমিক ৪ শতাংশ বরাদ্দের সুপারিশ করছে বাংলাদেশের পরিকল্পনা কমিশন। দুঃখজনক হলেও সত্য, কোনো সুপারিশই বাস্তবায়ন হয়নি।
মন্ত্রণালয় আলাদা করলে শিক্ষাখাতে বরাদ্দের শতকরা হারে আরো কম হবে। শিক্ষার জাতীয়করণে রাষ্ট্রীয় পুরো অর্থায়ন করতে অর্থের বহুবিধ সোর্স তৈরি এবং তা কার্যকর করা জরুরি।
১. আন্তর্জাতিক ডিক্লারেশনে বিভিন্ন সময়ে সরকার প্রদত্ত অর্থ বরাদ্দের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করা।
২. ভৌগোলিক ও আর্থসামাজিক অবস্থা বিবেচনা করে শিক্ষার্থীদের বেতন ভাতার সিলিং করে আয়ের পরিমাণ বৃদ্ধি করা।
৩. প্রতিষ্ঠানের সব আয় রাষ্ট্রীয় শিক্ষাখাতে যুক্ত করা।
৪. বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ওপর সিএসআর এর আওতায় আদায়কৃত অর্থ শিক্ষা তহবিলে যুক্ত করা প্রয়োজন।
৫. সারচার্জের মতো সব মানুষের ওপর অথবা বিত্তশালীদের ওপর শিক্ষা কর আদায় করা যায়।
৬. বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভবন, পুকুর, জমির লিজ থেকে আয়কৃত অর্থ শিক্ষা বাজেটে যুক্ত করা।
শিক্ষা ব্যবস্থাপনা: শত রাজনীতিক ও অর্থনীতিবিদের চেয়ে একজন উদ্যোক্তা অনেক কার্যকর। শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণের প্রয়োজন এমন উদ্যোক্তার খুবই প্রয়োজন। এই জন্য শিক্ষা প্রশাসনকে দক্ষ, যোগ্য ডায়নামিক করা জরুরি। সে কারণে শিক্ষা প্রশাসনকে ঢেলে সাজানো দরকার। শিক্ষা প্রশাসনের প্রান্তিক পর্যায়ের ইউনিট, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধান, ব্যবস্থাপনা কমিটি বা গভর্নিং বডি এমনকি বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট থেকে শুরু করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। মাঝে রয়েছে থানা, জেলা, বিভাগ এবং অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা, এদের সকল স্তরে দক্ষ, গুণসম্পন্ন ও মেধাবীদের পদায়ন করা জরুরি। সব স্তরে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার মাধ্যমে সর্বোচ্চ মেধাবীদের প্রতিষ্ঠান প্রধান থেকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব (শিক্ষকদের মধ্য থেকে) পদে পদায়নের ব্যবস্থা করা।
সব স্তরের শিক্ষক, একটি মাত্র নিয়োগ কমিশনের মাধমে (ভারতের মতো ভিন্ন ভিন্ন স্তরের জন্য ভিন্ন ভিন্ন নিয়োগ কমিশন থাকতে পারে) নিয়োগদান করা যেতে পারে। শিক্ষকদের জন্য পৃথক বেতন কাঠামো তৈরি যোগ্যতা ভিত্তিতে বেতন ও পদোন্নতি এবং গবেষণার সুবিধা বিস্তবায়নের আলোকে নিশ্চিত করার ব্যবস্থা করা। নিয়োগের পর বুনিয়াদী প্রশিক্ষণের কাজে যুক্ত করা, এবং ধারাবাহিকভাবে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা। শিক্ষাখাতের সব আর্থিক চাহিদা রাষ্ট্র নিশ্চিত করবে আর শিক্ষা প্রশাসনের সবটাই পরিচালনা করবেন শিক্ষকদের দ্বারা গঠিত শিক্ষা প্রশাসন। অন্ন বস্ত্র বাসস্থান ও স্বাস্থের মতো মৌলিক বিষয়গুলো নিয়ে জাতীয় ঐকমত্য জরুরি। শিক্ষার জন্য এটি আরো বেশি সত্য। কারণ, শিক্ষার আউটপুট পেতে কমপক্ষে ১৫/২০ বছর লাগে সেখানে সরকার পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে শিক্ষা ব্যবস্থার পরিবর্তনের কারণে শিক্ষাক্ষেত্রে শনির দশা কাটছে না। এ সমস্যা সমাধানে শিক্ষকদের দ্বারা গঠিত শিক্ষক প্রশাসন কাজ করবে। শিক্ষকরা দলবাজি বা দলকানায় পরিনত হবেন না, তাদেরকে দল নিরপেক্ষ হতে হবে কিন্তু মত নিরপেক্ষ নয়।
জাতীয়করণের সমস্যা: সরকারিকরণ মানেই জাতীয়করণ নয়। সরকারিকরণে আর্থিক দায়িত্ব নেয় সরকার। শিক্ষকরা হোন অন্যান্য সেক্টরের মতো চাকুরে ফলে তাদের একাডেমিক স্বাধীনতা থাকে না। দেশ জাতির প্রয়োজনে দাঁড়াতে পারনে না। যদিও দল সরকার ও আর রাষ্ট্র এক জিনিস নয়। জাতীয়করণের অনেকটাই উদাহরণ হতে পারে স্বায়ত্বশাসিত ৫টি বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা, চট্রগ্রাম রাজশাহী জাহাঙ্গীরনগর এবং বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়। সরকারের রাজনৈতিক অর্থনৈতিক নীতি পূঁজিবাদ, ভোগবাদ বিশ্বব্যাংক আইএমএফ অনুসারী হওয়ায় তারা অন্যান্য খাতের মতো সেবা খাতকেও উদারিকরণ বা ব্যাক্তিগত খাতের প্রভাবকে উৎসাহিত করার পক্ষে। তাদের দলীয় ও নির্বাচনি ঘোষণা পত্রে দেশের শিল্পও সেবাখাতকে, ব্যাক্তিগত খাতকে উৎসাহিত করার নামে বেসরকারিকরণের প্রক্রিয়ায় আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সমঝোতায়, শিক্ষায় বাজেট বৃদ্ধির সম্মতি দিলেও প্রকৃতি অর্থে তা হয়নি। এখানে আর্থিক সীমাবদ্ধতা প্রধান নয়, প্রধান সীমাবদ্ধতা তাদের দলীয় রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পলিসি। যে কারণে স্বাধীন একটি দেশে ৫২ বছরেও শিক্ষা খাতের আর্থিক দৈন্যদশা কাটছে না। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৩৬ হাজার প্রাথমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সরকারিকরণ করলেও ১৯৮১ খ্রিষ্টাব্দের আগে মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষায় সরকারি বরাদ্দ সেইভাবে হয়নি। ১৯৮০ খ্রিষ্টাব্দে প্রথম বেতন-ভাতার ৫০ শতাংশ দিয়ে শুরু হয়ে ৫০ বছর পরে বেতন-ভাতার একটা অংশের শতভাগ হয়েছে। ১০০০ টাকার বাড়িভাড়া , ৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা, ২৫ শতাংশ বোনাস দিয়েই শিক্ষা বান্ধবের খেতাব পাচ্ছেন অনেক শাসক। ১৯৮৪ খ্রিষ্টাব্দে আইএমএফ’র সঙ্গে সরকারের কাঠামোগত সংস্কার প্রকল্পের আওতায় গোল্ডেন হ্যান্ডশেক কার্যক্রম, ১৯৯৪ খ্রিষ্টাব্দে বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে সরকারের সেবাখাত উদারিকরণ প্রকল্প, এ চুক্তির সঙ্গে যুক্ত হওয়ায় সেবাখাতে অর্থায়ন করা থেকে সরকারগুলো যেনো আইনগতভাবে দায়মুক্তি পেয়েছে। নির্বাচনি বৈতরণী পার হতে এবং ক্ষমতার মসনদে আসিন হওয়ার প্রয়োজনে বিভিন্ন সময়ে ৫ শতাংশ, ১০ শতাংশ, বাড়ীভাড়া ১০০ টাকা, ৩০০ টাকা করে ১০০০ টাকা এইভাবে বৃদ্ধি করেছে অথচ প্রকল্পের নামে কোটি কোটি টাকা অপচয় অথবা পকেটস্থ হচ্ছে। শিক্ষার দর্শন অর্থায়ন ও ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে নানান সংকটের প্রতিফলন আজকের শিক্ষার সংকট। এই সংকট থেকে মুক্তি না পেলে বিশ্বায়ন এবং ৪র্থ শিল্প বিপ্লবের অভিঘাত থেকে দেশও জাতির অগ্রগতি অর্জন কঠিন হবে। এই সব সমস্যা সমাধানে শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণের বিকল্প নেই। শিক্ষার সংকট মোচনে শিক্ষার্থী, শিক্ষক, শিক্ষানুরাগী এবং দেশ প্রেমিকদের যেমন সচেতন হওয়ার দরকার সেই মঙ্গে বিভিন্ন রাজনেতিক দলের নীতি নির্ধারকদের দায়িত্বশীল ভূমিকা নেয়া দরকার। আর রাজনৈতিক দলের আন্তরিকতা ও সদিচ্ছা প্রয়োজন সবার আগে এবং জনগণের নিকট থেকে নেয়া কর ও খাজনার প্রতিদান হিসেবে নাগরিক অধিকার বাস্তবায়নে শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণ এখন সময়ের দাবি।
লেখক : আকমল হোসেন, অধ্যক্ষ, লালমাটিয়া হাউজিং সোসাইটি স্কুল এন্ড কলেজ, ঢাকা।