শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে নিয়ে ‘মিথ্যাচার’ ও অসত্য তথ্য দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিয়মিত পোস্ট দেয়ার অভিযোগ উঠেছে মো. মহিবুল্লাহ নামের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এ অভিযোগে তার এমপিও বন্ধ হচ্ছে। এমপিও বন্ধ করে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
জানা গেছে, অভিযুক্ত শিক্ষক মো. মহিবুল্লাহ সিলেটের জামেয়া রাহমানিয়া তায়ীদুল ইসলাম ফতেহপুর কামিল মাদরাসায় মুফাসসির পদে কর্মরত। এমপিও বন্ধ ও আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার আগে তাকে শোকজ করা হয়েছে। একইসঙ্গে ওই শিক্ষককে তলব করেছে মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তর। আগামী ২৫ জুন সকালে তাকে অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের দপ্তরে শোকজের জবাবসহ শুনানিতে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বিষয়টি দৈনিক শিক্ষাডটকমকে নিশ্চিত করেছেন।
অধিদপ্তর থেকে ওই শিক্ষককে পাঠানো শোকজ নোটিশে বলা হয়েছে, শিক্ষক মো. মহিবুল্লাহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও শিক্ষামন্ত্রীর সম্পর্কে অব্যাহতভাবে মিথ্যাচার, অপ-প্রচার ও অসত্য তথ্য দিয়ে পোস্ট বিভিন্ন সময়ে আপলোড করে যাচ্ছেন। যা জনমনে অসন্তোষ ও অপ্রীতিকার মনোভাব সৃষ্টি ও সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করছে। যা সরকারি প্রতিষ্ঠানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার নির্দেশকা-২০১৯ ও মাদরাসার জনবল কাঠামোর পরিপন্থী ও অসদাচারণ হিসেবে গণ্য। তাই তার এমপিও স্থায়ীভাবে বন্ধসহ প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে না সে কারণ দর্শানোর জবাবসহ ২৫ জুন সকাল সাড়ে ১০টায় মহাপরিচালকের অফিসে স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে শুনানিতে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে।
যদিও শিক্ষামন্ত্রী ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে নিয়ে শিক্ষক মো. মহিবুল্লাহ কী ফেসবুক পোস্ট দিয়েছিলেন তা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।
এসব বিষয়ে জানতে জামেয়া রাহমানিয়া তায়ীদুল ইসলাম ফতেহপুর কামিল মাদরাসা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও সাড়া মেলেনি।
শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক শিক্ষার ইউটিউব চ্যানেলের সাথেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে সয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।