নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল নাজমুল হাসান বলেছেন, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে ভর করে দুর্বৃত্তরা যে ক্ষতি করেছে, ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে তা কারো কাছেই কাম্য নয়।
গতকাল মঙ্গলবার চট্টগ্রাম বন্দর ও বঙ্গবন্ধু টানেল পরিদর্শন শেষে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় তিনি আরো বলেন, সমুদ্র বন্দর সচল রাখতে যে কোনো ধ্বংসাত্মক তৎপরতা ঠেকাতে নৌবাহিনী প্রস্তুত আছে। বন্দরের নিরাপত্তায় সেনা ও নৌবাহিনী মোতায়েন আছে।
প্রসঙ্গত, মুক্তিযোদ্ধা কোটাবিরোধী আন্দোলনে টানা কয়েকদিন ধরে চলা নাশকতায় নৌবাহিনীসহ আইন-শৃঙ্খলাবাহিনী চট্টগ্রাম বন্দর ও বঙ্গবন্ধু টানেলসহ বন্দর নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার নিরাপত্তা রক্ষা করে।
এর আগে কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচিতে নাশকতাকারীরা বিটিভি, মেট্রোরেল, সেতুভবন, টোলপ্লাজায় আগুন দেয়। ডাটাবেস সেন্টার পুড়িয়ে দেয়। নরসিংদী কারাগারে হামলা চালিয়ে কয়েদিদের বের করে নিয়ে যায়। অনেক পুলিশ ফাঁড়ি জ্বালিয়ে দেয়। হাসপাতালে, র্যাব অফিসে হামলা চালায়। হাসপাতাল থেকে টেনে বের করে মেরে ঝুলিয়ে রাখে। বিদ্যুৎ ভবন আক্রমণ করে। গাড়ি, বাস পোড়ায়। সিটি করপোরেশনে হামলা হয়। রেল স্টেশন ভাঙচুর হয়। সারা দেশে আরো অনেক গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা পোড়ানো হয়। নাশকতায় লাগাম টানতে দেশজুড়ে কারফিউ জারি করা হয়।