উপাচার্য খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়কে (খুবি) একটি ইমপ্যাক্টফুল বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে গড়ে তুলতে সবার সহযোগিতা কামনা করেছেন উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. রেজাউল করিম।
তিনি বলেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে আমরা যে গবেষণাগুলো করবো, তা বাংলাদেশের উন্নয়নে এবং বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ভূমিকা রাখবে। আমাদের শিক্ষার্থীরা এমনভাবে দক্ষ হয়ে উঠবে, তারা যেখানে যে কাজই করুক- তারা তাদের একটি গ্রহণযোগ্যতা তৈরি করতে পারবে।
গতকাল শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু একাডেমিক ভবনের সাংবাদিক লিয়াকত আলী মিলনায়নে এক মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন তিনি।
এ সময় উপাচার্য আরো বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশাসন এমনভাবে পরিচালিত হবে, যেনো তা সমাজের এবং জাতির টেকসই উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে পারে। আমি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়কে আপনাদের সবার সহযোগিতা এবং বর্তমান প্রশাসনের গতিশীলতা দিয়ে ‘ইমপ্যাক্টফুল বিশ্ববিদ্যালয়’ এ পরিণত করতে চাই।
উপাচার্য আরো বলেন, গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে বিগত সরকারের পতন হলে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়। পরবর্তীতে গত ২০ আগস্ট খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন ভাইস-চ্যান্সেলর, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর, ট্রেজারার, রেজিস্ট্রার, প্রভোস্টরা, প্রকল্প পরিচালক, বিভিন্ন বিভাগের পরিচালকসহ প্রায় ৭০ জন প্রশাসনিক দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করেন।
মতবিনিময় সভায় উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. হারুনর রশীদ খান বলেন, আমরা দায়িত্ব গ্রহণের পর শিক্ষার্থীদের ক্লাসে ফিরিয়ে আনাসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম স্বাভাবিক করাই ছিলো সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। ইতোমধ্যে আমরা সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে সক্ষম হয়েছি। আমরা খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়কে তার অভীষ্ট লক্ষে এগিয়ে নিতে সাংবাদিকদের সহযোগিতা কামনা করি। এ ছাড়াও তিনি সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।
মতবিনিময় সভায় মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর ড. এস এম মাহবুবুর রহমান। সভা সঞ্চালনা করেন ছাত্র বিষয়ক পরিচালক প্রফেসর ড. মো. নাজমুস সাদাত। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্কুলের ডিন, ডিসিপ্লিন প্রধান, প্রভোস্ট ও পরিচালকরা উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় সাংবাদিকদের মধ্য থেকে বিগত সরকারের আমলে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে সংঘটিত বিভিন্ন অনিয়মের ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে উপাচার্য ও উপ-উপাচার্য ব্যাপারগুলো খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেন। মতবিনিময় সভায় খুলনার বিভিন্ন প্রিন্ট, ইলেক্ট্রনিক ও অনলাইন মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
(২৪ নভেম্বর)