ফেনীর সোনাগাজীতে শিক্ষার্থীদের প্রায় দুই লাখ টাকা নিয়ে একজন শিক্ষক উধাও হয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। হিরন শেখ নামে ওই শিক্ষক সোনাগাজী পৌরসভার পশ্চিমবাজারের আল হেলাল একাডেমিতে কর্মরত ছিলেন। সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে তার স্থায়ী ঠিকানা যাচাই করার উদ্যোগ নেওয়া হলে তিনি হঠাৎ উধাও হয়ে যান। গত মঙ্গলবার থেকে ওই শিক্ষকের খোঁজ মিলছে না বলে জানিয়েছেন তার সহকর্মী ও ছাত্রছাত্রীরা। তার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বর দুটিও বন্ধ রয়েছে।
উধাও হওয়ার পরদিন থেকে প্রতিষ্ঠানের অন্তত ২০ শিক্ষার্থী অভিযোগ করেছে, তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন কৌশলে দুই লাখ টাকা নিয়েছেন ওই শিক্ষক। শিক্ষার্থীরা ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে পালিয়ে যাওয়া শিক্ষকের সন্ধান পেলে জানানোর আহ্বান জানিয়েছে।
জানা যায়, ওই শিক্ষকের বাড়ি নরসিংদীর কোনো এক প্রত্যন্ত অঞ্চলে। গত ৯ জুন স্কুল পরিচালনা কমিটির সভায় একজন সদস্য তার স্থায়ী ঠিকানা যাচাইয়ের প্রস্তাব করলে তা সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়। স্থায়ী ঠিকানা যাচাই-সংক্রান্ত কোনো জটিলতা থাকায় তা এড়াতে তিনি উধাও হতে পারেন বলে অনেকের ধারণা।
আল হেলাল একাডেমির একাধিক শিক্ষক নাম প্রকাশ না করে জানান, হিরন শেখের নিয়োগ প্রক্রিয়া ত্রুটিপূর্ণ ছিল। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের কয়েক মাস আগে প্রধান শিক্ষক ওমর ফারুক তাকে বিদ্যালয়ে এনে শ্রেণি কার্যক্রমে যুক্ত করেন। পরে তাকে নিয়োগ দেয় পরিচালনা পর্ষদ। তার চেয়ে একাধিক যোগ্য প্রার্থী থাকার পরও তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়। তার দেওয়া ঠিকানা সঠিক কি না সেটা নিয়েও সন্দেহ রয়েছে। কারণ উধাও হওয়ার পর তার দেওয়া ঠিকানায় যোগাযোগ করেও সন্ধান পাওয়া যায়নি।
আল হেলাল একাডেমির প্রধান শিক্ষক ওমর ফারুক বলেন, ‘আমরা তার সন্ধান করছি, না পেলে পরিচালনা পর্ষদের সঙ্গে পরামর্শ করে প্রশাসনের শরণাপন্ন হব।’ তবে ত্রুটিপূর্ণ প্রক্রিয়ায় তাকে নিয়োগের বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন।
সোনাগাজী মডেল থানার ওসি খালেদ হোসেন বলেন, ‘এ বিষয়ে কেউ থানায় অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’