দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তরসহ শিক্ষার্থীদের তিন দফা দাবির বিষয়ে একমত পোষণ করে তা বাস্তবায়নে কাজ করভহে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) প্রশাসন।
রোববার (১০ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ, তথ্য ও প্রকাশনা দপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়৷
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মাত্র দেড়মাস আগে দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে বর্তমান বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো পূরণে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায়, দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের প্রজেক্ট সেনাবাহিনীর হাতে হস্তান্তরের সম্ভাবনা ও প্রক্রিয়া জানার জন্য কর্তৃপক্ষ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (প্রকল্প বাস্তবায়নকারী কর্তৃপক্ষ হিসেবে) এবং বুয়েটের বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে নিবিড়ভাবে যোগাযোগ করে যাচ্ছে। এ ছাড়াও অন্য প্রক্রিয়ায় এটি সম্ভব কিনা তা নিয়েও কর্তৃপক্ষ কাজ করছে। ফলে শিক্ষার্থীদের প্রথম ও দ্বিতীয় দাবি দ্রুতই পূরণ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এতে আরো বলা হয়, শিক্ষার্থীদের তৃতীয় দাবি ১১.৪০ একর ভূমি অধিগ্রহণের প্রক্রিয়ায় উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে। সম্প্রতি ভূমি অধিগ্রহণের লক্ষ্যে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, ঢাকার পাঠানো ভিন্ন তিনটি চিঠির মাধ্যমে সাব-রেজিস্ট্রার, কেরানীগঞ্জকে ভূমি মালিকানা সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ, নির্বাহী প্রকৌশলী গণপূর্ত বিভাগ-২ কে নির্ধারিত জমিতে যেসব স্থাপনা আছে তার মূল্য নির্ধারণ এবং বিভাগীয় বন কর্মকর্তাকে জমিতে থাকা গাছপালার মূল্য নির্ধারণের জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আরো জানায়, ইতোমধ্যে এসব কাজ শেষ হয়েছে বা হওয়ার পর্যায়ে আছে বলে জানা গেছে। এই অধিগ্রহণের জন্য প্রয়োজনীয় টাকার প্রায় সবই ইতোমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক জমা দেয়া আছে। জেলা প্রশাসন সকল জমির মূল্য চূড়ান্ত করে জানালে তা সমন্বয় করা হবে। এরপর জেলা প্রশাসন বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুকুলে উক্ত জমি দ্রুততম সময়ের মধ্যে হস্তান্তর করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের আবাসন সংকট সমাধানকে অগ্রাধিকার দিয়ে অস্থায়ী ভিত্তিতে অধিগ্রহণকৃত জমিতে অবস্থিত পরিত্যক্ত ভবনগুলোকে বসবাস উপযোগী করা যায় কিনা তা নিয়ে কাজ করছে। যদি তা সম্ভব নাও হয় তবে অস্থায়ীভাবে আবাসনের ব্যবস্থা করার বিষয়টিও জোরালোভাবে দেখা হচ্ছে বলেও সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
নতুন কর্তৃপক্ষ অতীতের দীর্ঘ অচলায়তন ভেঙে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ উল্লেখ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বলভহে, কর্তৃপক্ষ দায়িত্ব গ্রহণের প্রথমদিন থেকেই শতভাগ আন্তরিকতা নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে।
উপর্যুক্ত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে যৌক্তিক সময়ের প্রয়োজন, তবে নিশ্চয় সেটি পূর্বের মতো সময়ক্ষেপণ কিংবা বিষয়টি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য নিছক অজুহাত নয়। অতএব শিক্ষার্থীদের একাডেমিক স্বার্থে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে সকলকে কার্যকর সহযোগিতা প্রদানের জন্য কর্তৃপক্ষ আহ্বান জানাচ্ছে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম বলেন, আমাদের যে জমি এখনো অধিগ্রহণ হয়নি তা অধিগ্রহণের জন্য আমরা প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলেছি। কয়েকবার চিঠিও দেয়া হয়েছে। আশা করি দ্রুতই আমরা বাকি জমি অধিগ্রহণ করতে পারব। এ ছাড়া অন্যান্য বিষয়েও আমাদের কাজ চলমান। আমরা আমাদের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি।