শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে ঢাবিতে সিন্ডিকেট মিটিং পণ্ড - দৈনিকশিক্ষা

শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে ঢাবিতে সিন্ডিকেট মিটিং পণ্ড

দৈনিক শিক্ষাডটকম, ঢাবি |

আওয়ামী লীগ-সমর্থিত শিক্ষকদের নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সর্বোচ্চ নীতি-নির্ধারণী সিন্ডিকেট মিটিং চলাকালে শিক্ষার্থীদের বাধার মুখে তা পণ্ড হয়ে যায়।

বুধবার (১৩ নভেম্বর) ঢাবির নবাব আলী চৌধুরী সিলেট ভবনে সন্ধ্যার পর মিটিং বসে।

এ সময় সিন্ডিকেট সদস্যরা তাদের নির্ধারণী কাজ করছিলেন। কিন্তু আওয়ামী লীগের আমলে শিক্ষার্থীবিরোধী অবস্থানের জন্য বিতর্কিত হয়ে পড়ে এই সিন্ডিকেট বডি। এরই জোরে ধরে সিন্ডিকেট মিটিং পণ্ড করে দেয় শিক্ষার্থীরা।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের মিটিং চলছে এমন খবর জানতে পেরে শিক্ষার্থীদের একাংশ মধুর ক্যান্টিনে জমা হতে থাকে। সাধারণ শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি উল্লেখযোগ্য সংখ্যায় ছিল সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের নেতাকর্মী।

সংগঠিত ছাত্রদের একটি অংশ মধুর ক্যান্টিন থেকে মিছিল করতে করতে নবাব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনের যে স্থানে সিন্ডিকেট চলছে সেখানে পৌঁছে যায়। ফলে ভেস্তে যায় মিটিং। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান ও প্রক্টর অধ্যাপক ড. সাইফুদ্দিন আহমেদ এসে শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নেওয়া হবে বলে আশ্বস্ত করলে শিক্ষার্থীরা স্থান ত্যাগ করে।

এ বিষয়ে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক মোজাম্মেল হক বাবু বলেন, এই সিন্ডিকেট শেখ হাসিনার দুঃশাসন টিকিয়ে রাখতে শিক্ষার্থীদের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছিল।

গত ১৭ জুলাই ঢাবি সিন্ডিকেটের এই সদস্যদের মিটিংয়েই পুলিশ, বিজিবি, র‍্যাব ও সোয়াট দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস এবং আবাসিক হল বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এই সিন্ডিকেট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতি-নির্ধারণী ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়ার নৈতিক অধিকার হারিয়েছে। এমনকি এই সিন্ডিকেটের তত্ত্বাবধানে শিক্ষার্থীরা এখনো নিরাপত্তাহীনতায় আছে।

তিনি আরো বলেন, নিয়ম না মেনে গঠিত এই সিন্ডিকেটের অনেক সদস্য বিনা ভোটে নির্বাচিত। এই সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনে ব্যাপক দলীয়করণ করা হয়েছে। তাই এই সিন্ডিকেট ভেঙে দিয়ে নিয়মতান্ত্রিকভাবে নতুন সিন্ডিকেট গঠন করতে হবে। দলীয় আনুগত্যের বিবেচনায় সিন্ডিকেট গঠন করা যাবে না। সিন্ডিকেটে শিক্ষার্থী প্রতিনিধি নেই। সিন্ডিকেটে অবশ্যই শিক্ষার্থী প্রতিনিধিত্বের ব্যবস্থা করা দরকার।

পুরনো পদ্ধতিতে ফিরছে বৃত্তি পরীক্ষা - dainik shiksha পুরনো পদ্ধতিতে ফিরছে বৃত্তি পরীক্ষা শিক্ষায় কী হলো তিন মাসে - dainik shiksha শিক্ষায় কী হলো তিন মাসে মাদরাসায় চলে যায় প্রাথমিকের ২৬ দশমিক ৫৭ শতাংশ শিক্ষার্থী - dainik shiksha মাদরাসায় চলে যায় প্রাথমিকের ২৬ দশমিক ৫৭ শতাংশ শিক্ষার্থী কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক - dainik shiksha কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক অবশেষে কপাল খুললো পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তিতে বাদপড়াদের - dainik shiksha অবশেষে কপাল খুললো পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তিতে বাদপড়াদের শিক্ষক নিবন্ধন ভাইভা: ১৫তম দিনে যেসব প্রশ্নের মুখোমুখি - dainik shiksha শিক্ষক নিবন্ধন ভাইভা: ১৫তম দিনে যেসব প্রশ্নের মুখোমুখি কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে গণঅভ্যুত্থানে আহতদের তোপের মুখে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা - dainik shiksha গণঅভ্যুত্থানে আহতদের তোপের মুখে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা দপ্তরসহ সাবেক শিক্ষাপ্রতিমন্ত্রীকে চালাতেন পিয়ন! - dainik shiksha দপ্তরসহ সাবেক শিক্ষাপ্রতিমন্ত্রীকে চালাতেন পিয়ন! ৬১০ ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীর শিক্ষা অধিদপ্তরে নিয়োগ চূড়ান্ত! - dainik shiksha ৬১০ ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীর শিক্ষা অধিদপ্তরে নিয়োগ চূড়ান্ত! দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0034170150756836