ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. সৈয়দ রেজাউল ইসলাম ১০ দিনের ছুটি নিয়ে কর্মস্থল ছেড়েছেন। আজ সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে তিনি হাসপাতাল ছাড়তে বাধ্য হন।
তত্ত্বাবধায়ক ডা. সৈয়দ রেজাউল ইসলামের বিরুদ্ধে ফ্যাসিবাদী শক্তিকে মদদ দেওয়া, হাসপাতালের খাবার ও কেনাকাটায় দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি ও টেন্ডারবাজির অভিযোগ ছিল দীর্ঘদিনের। এসব অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তত্ত্বাবধায়ক ডা. সৈয়দ রেজাউল ইসলামকে একাধিকবার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মীরা সতর্ক করেন।
গত রবিবার হাসপাতাল এলাকায় সাইকেল স্ট্যান্ডের ইজারা বাবদ এক নারী ঠিকাদারের কাছ থেকে এক লাখ ১০ হাজার টাকা ঘুষ গ্রহণ করেন তত্ত্বাবধায়ক।
জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, তত্ত্বাবধায়ক ডা. সৈয়দ রেজাউল ইসলাম এর আগের কর্মস্থলে দুর্নীতির দায়ে বদলি হন। ঝিনাইদহে যোগদানের পর থেকে তিনি ওষুধ কেনাকাটা, খাবারের টেন্ডার, হাসপাতালের মেরামত ও নির্মাণে দুর্নীতির আশ্রয় গ্রহণ করেন।
তিনি আরো বলেন, ১৫ বছর ধরে আওয়ামী ফ্যাসিবাদী শক্তি হাসপাতালের রোগীদের খাবার টেন্ডারের মাধ্যমে সরবরাহ করছে।এ বছরও তাকেই কারসাজি করে টেন্ডার দেন। এ ছাড়া হাসপাতালের বিভিন্ন খাত থেকে তিনি মাসিক মোটা অঙ্কের টাকা গ্রহণ করতেন।