ছাত্ররাজনীতি করার পাশাপাশি একজন শিক্ষার্থীকে দক্ষ নেতা ও সংগঠক হিসেবে গড়ে উঠতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন।
রোববার (৫ মার্চ ) শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের পুকুর পাড়ে আয়োজিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার 'স্মার্ট বাংলাদেশ' অভিযাত্রায় কার্যকর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে কর্মপরিকল্পনা নির্ধারক কর্মী সভায় তিনি এই কথা বলেন।
ছাত্রলীগ সভাপতি বলেন, আমরা ছাত্ররাজনীতিতে পরিবর্তন আনতে চাই৷ ছাত্রলীগের রাজনীতি করার পাশাপাশি শিক্ষার্থীরা যেনো দক্ষ লিডার ও সংগঠক হিসেবে গড়ে উঠতে পারে। ছাত্রসমাজকে ভালো কিছু দেয়ার জন্য, যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবেলা, যেকোনো সমস্যা সমাধান করতে পারা, গ্রুপ ওয়ার্কে দক্ষ হয়ে ওঠার জন্য ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের ছাত্ররাজনীতি করতে হবে। আজকে ছাত্রলীগকে নিয়ে অনেক সমালোচনা হচ্ছে। এজন্য আমাদের চ্যালেঞ্জ নিতে হবে, খারাপকে বদলাতে হবে। আমাদের চ্যালেঞ্জের মোকাবিলায় লড়াই করতে হবে, সাংগঠনিক পথচলায় পরিবর্তন নিশ্চিত করতে হবে।
তিনি আরো বলেন, কর্মীসভা করার উদ্দেশ্য হলো গ্রুপিংয়ের রাজনীতি বন্ধ করা, দলীয় কার্যক্রম সঠিকভাবে করা, সংগঠনকে আরো গতিশীল করা। সাংগঠনিক গতিশীলতা না হলে, আমাদের ইতিবাচক পরিবর্তন না হলে কর্মীসভাত গুরুত্ব থাকে না। এজন্য আমাদের সবাইকে একই স্বপ্নের সহযাত্রী হতে হবে। ছাত্রলীগ করার পাশাপাশি সে একজন দক্ষ হিসেবে গড়ে উঠবে, মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পাবে। ছাত্র অধিকার আদায়ে আমরা লড়াই করে যাবে। যারা শহীদের রক্তের সাথে বেঈমানী করেছে, জাতির পিতাকে হত্যা করেছে, রাজাকারদের পুনর্বাসনের রাজনীতি যারা করে তাদের চূর্ণ করতে আমাদের মনে জেদ রাখতে হবে, প্রতিজ্ঞা করতে হবে।
যেই শেখ হাসিনা এত গণজাগরণ সৃষ্টি করেছেন সেই সহেখ হাসিনাকে পুনরায় ক্ষমতায় রাখতে আগামী নির্বাচনে একজন নতুন তরুণ ভোটার যেনো স্বেচ্ছাপ্রণোদিত হয়ে নৌকায় ভোট দেয় এজন্য তিনি সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান ব্যক্ত করেন।
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ঢাবি সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত বলেন, একজন মানুষের আগে নেতা হিসেবে নয়, একজন ছাত্র হিসেবে গড়ে উঠতে হবে। একজন ব্যক্তি নিজেকে নেতা বললেই নেতা হয় না, সাধারণ শিক্ষার্থী বা মানুষজন তাকে নেতা বললে তবেই সে নেতা হয়ে উঠে। একজন মানুষকে প্রথমে নিজেকে ভালোবাসতে হবে। পরে বড় একটি স্বপ্ন দেখতে হবে যেনো সংগঠনের প্রতি ভালোবাসতে হবে প্রাণ খুলে, যেনো হাজার শিক্ষার্থী তাকে মঞ্চে দাঁড় করিয়ে দেয় শিক্ষার্থীদের পক্ষে বলার জন্য। ছাত্রলীগের কর্মী সভার মূল লক্ষ হলো ছাত্রলীগকে শৃঙ্খলাবদ্ধ করা বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রুবেল হোসেনের সঞ্চালনায় কর্মী সভায় সভাপতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জহুরুল হক হল সভাপতি কামাল উদ্দিন রানা। এছাড়াও বক্তব্য প্রদান করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন।