শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুধু ডিগ্রি বা সনদ দিলে হবে না। শিক্ষার্থীদের মাঝে মানবিকতা ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার চেতনা ছড়িয়ে দিতে হবে। যে সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন নিয়ে লাখো শহীদ জীবন দিয়েছেন সে স্বপ্ন পূরণে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।
সোমবার বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনে (ইউজিসি) শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন উপলক্ষে আয়োজিত এক বিশেষ আলোচনা ও স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, বুদ্ধিজীবীদের হত্যাকাণ্ড একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধে মানবতার বিরুদ্ধে সংঘটিত অপরাধগুলোর মধ্যে ঘৃণ্যতম অপরাধ। এসব হত্যাযজ্ঞে যারা নেতৃত্ব দিয়েছেন, প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত ছিলেন, তাদের সবাইকে চিহ্নিত করে শাস্তির মুখোমুখি করতে হবে। ইতোমধ্যে চিহ্নিত কয়েকজন যুদ্ধাপরাধীর শাস্তি কার্যকর করা হয়েছে। সব ঘাতকের বিচারের মাধ্যমেই জাতি দায়মুক্ত হতে পারে। এ দায়মুক্তির কাজ বর্তমান সরকারের অধীনেই সম্পন্ন করা সম্ভব।
তিনি আরও বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবীরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সংগ্রাম ও স্বপ্ন বাস্তবায়নের অংশীদার ছিলেন। স্বাধীন দেশের জন্য মানুষকে নানাভাবে তারা উদ্বুদ্ধ করতেন। এজন্য স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি তাদেরকে নির্মমভাবে হত্যা করেছিলো।
ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কাজী শহীদুল্লাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে বক্তব্য দেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক ড. দিল আফরোজা বেগম। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান ও নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আতিকুল ইসলাম যথাক্রমে পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের পক্ষ থেকে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে শহীদ পরিবারের সদস্য আরমা দত্ত, ডা. নুজহাত চৌধুরী, তানভীর হায়দার চৌধুরী, শমী কায়সার ও রোকাইয়া হাসিনা নীলি স্মৃতিচারণ করেন।
বাংলাদেশ অ্যাক্রিডিটেশন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মেসবাহউদ্দিন আহমেদ, অধ্যাপক ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন, অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীর, অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ চন্দ ও অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের এবং পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা, শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ইউজিসির জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।