মার্চ মাস ঘিরে শিক্ষার্থীদেরকে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানার তাগিদ দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম এমপি। এছাড়া তথ্যপ্রযুক্তিতে জ্ঞান লাভ করে যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার পরামর্শও দেন তিনি।
শনিবার (৯ মার্চ) রাজধানীর কেরানীগঞ্জে তালেপুর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘মার্চ মাসের সব স্মৃতি নিয়ে আজ এখানে দাঁড়িয়েছি। কীভাবে আমরা মুক্তিযুদ্ধে প্রবেশ করলাম, ৭ মার্চের ভাষণ কেন আসলো শিক্ষর্থীদেরকে তা জানতে হবে। জাতীয় সংগীতের লাইনগুলো বুঝতে হবে। মুক্তিযুদ্ধকে বুঝতে হবে, ধারণ করতে হবে। মুক্তিযোদ্ধাদেরকে জানতে হবে।’
অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, পাঠ্যপুস্তকে দীর্ঘদিন মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস ছিল না। কিন্তু এই সরকার শিক্ষাবান্ধব। আর্থিকভাবে অসচ্ছল শিক্ষার্থীদেরকে উপবৃত্তির সুযোগ করে দিয়েছে সরকার, যাতে শিশুশ্রম বন্ধ হয়ে শিক্ষা লাভের সুযোগ পায় সব শিশু।
‘অতীতের কোনো সরকার এমন দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে কাজ করেনি। এর আগে কোনো সরকার শিক্ষার্থীদের হাতে বিনামূল্যে বই তুলে দেয়নি। আগে প্রাথমিক স্কুলগুলোর ভগ্নদশা ছিল। কিন্তু এখন সব দৃষ্টিনন্দন ভবন’, যোগ করেন তিনি।
আওয়ামী লীগের সিনিয়র এ নেতা বলেন, বিএনপি সরকার প্রযুক্তিগত উন্নয়নের উদ্যোগ কখনো নেয়নি। কিন্তু প্রতিটা স্কুলে এখন শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব নির্মাণ করে আমরা তথ্যপ্রযুক্তিতে শিশুদের এগিয়ে রাখতে চাই।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, এখন প্রতিযোগিতার যুগ। তাই টিকে থাকতে চাইলে লেখাপড়া করতে হবে। মানুষের মতো মানুষ হতে হবে। শিক্ষার পাশাপাশি সংস্কৃতি, ক্রীড়া সব ক্ষেত্রে তোমাদের সফল বিচরণ হোক।
‘মোবাইলের ভালো দিক গ্রহণ করবে, অনেক কিছু এখানে জানার আছে। খারাপকে বর্জন করবে। দেশের শত্রু- মিত্রদেরকে চিহ্নিত করার চেষ্টা করো। সেই শত্রুদের সঙ্গে এখনো আমাদের লড়াই করতে হচ্ছে। কারণ দেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছে তখন তারা দেশকে পিছিয়ে রাখতে চায়। তোমাদের সঙ্গে নিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে চাই, যার মূল কারিগর হবে তোমরা। এই উন্নয়ন যারা চায় না তাদেরকে চিহ্নিত করে, প্রতিরোধ করে তোমাদের এগিয়ে যেতে হবে’, যোগ করেন কামরুল ইসলাম।