মুরাদ মজুমদার, দৈনিক শিক্ষাডটকম: দেশের বিভিন্ন স্কুলের পাঠদানের মান নিয়ে অভিযোগ অনেক পুরনো। এবার গবেষণাতেই জানা গেলো, খুব কম শিক্ষকই শিক্ষার্থীর প্রয়োজন ও সামর্থ্য বিবেচনায় নিয়ে পাঠদান করেন। সম্প্রতি দক্ষিণ আফ্রিকার কেপটাউনে অনুষ্ঠিত ব্রিটিশ কাউন্সিলের ‘স্কুলস নাউ! ২০২৪’ সম্মেলনে ডিপিএস এসটিএস স্কুল ঢাকার অধ্যক্ষ ড. শিবানন্দ সিএস উপস্থাপিত ‘টিচার ইফেকটিভনেস’ শীর্ষক গবেষণার ফলে বিষয়টি উঠে এসেছে।
প্রকাশিত ফলে দেখা গেছে, খুব কম শিক্ষকই কাস্টমাইজড টিচিং বা শিক্ষার্থীর চাহিদা অনুযায়ী সাজানো শিখন পদ্ধতিতে অভ্যস্ত। ফলে শিক্ষার্থীর নিজস্ব প্রয়োজন গুরুত্ব পায় না। এতে বিকাশ বাধাগ্রস্ত হয়।
জানা গেছে, কিন্ডারগার্টেন থেকে শুরু করে দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষকদের মাঝে পরিচালিত এই গবেষণায় প্রায় আড়াই হাজার ক্লাসের লেসন পর্যালোচনা করা হয়।
গবেষণার ফল উপস্থাপনায় ‘লার্নিং ডিফারেনসিয়েশন’ পদ্ধতির প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে শিবানন্দ বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো শিক্ষকদের উন্নয়নে মূল্যায়নের বিভিন্ন মানদণ্ড নির্ধারণ করে কাস্টমাইজড প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে পারে। শিক্ষকদের মান উন্নয়নে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ফিডব্যাক নিয়ে কাজ করতে পারে। ফিডব্যাক দেওয়ার জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান লেসন-ভিত্তিক মানদণ্ড নির্ধারণ করতে পারে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে আরও দক্ষ ও প্রশিক্ষিত শিক্ষক প্রয়োজন। আমার এই গবেষণার ফল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে দক্ষ শিক্ষক তৈরি ও পাঠদানের গুণগত মান উন্নয়নে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।
প্রসঙ্গত, শিক্ষাক্ষেত্রে সেরা অনুশীলন ও এ সংশ্লিষ্ট সম্যক জ্ঞান পরস্পরের সঙ্গে আদান-প্রদানে ‘স্কুলস নাউ! ২০২৪’ সম্মেলন আয়োজন করা হয়। শিবানন্দ সেখানে গবেষণার ফল উপস্থাপন করা একমাত্র বাংলাদেশি।
শিক্ষাসহ সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।