দৈনিক শিক্ষাডটকম, জবি প্রতিনিধি: যেমনিভাবে পাঠ্যপুস্তকের বাইরে অনেক বই পড়লে জ্ঞানী হওয়া যায় তেমনিভাবে শিক্ষার্থীরা মানুষকে যতো বেশি দেখবে ও জানবে ততো বেশি শিখবে বলে মন্তব্য করেছেন বরেণ্য নাট্যজন সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নূর।
রোববার সন্ধ্যায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগের আয়োজিত দ্বিতীয় নাট্যোৎসবের উদ্বোধন অনুষ্ঠানের দেয়া বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ‘কী ধ্বনি বাজে, গহনচেতনামাঝে’ স্লোগানকে সামনে রেখে এ নাট্যোৎসবের আয়োজন করা হয়।
আসাদুজ্জামান নূর বলেন, বিভিন্ন বিষয়ে তত্ত্ব, ইতিহাস পড়ানো হয়ে থাকে। কিন্তু নাট্যকলায় অভিনয়শিল্পীকে মূলত শিখতে হয় কিভাবে দর্শকের সঙ্গে যোগাযোগ সৃষ্টি করতে পারে আর অভিনয়টা দর্শকরা কতটা হৃদয়ে ধারণ করেছেন তার মধ্যদিয়ে। আমি মূলত নানা মানুষের নানান বিচিত্র জিনিষ দেখে শিখি তবে বর্তমানে যারা একাডেমিকভাবে শিক্ষা গ্রহণ করছে তারা ভাগ্যবান, দুটোই শিখছে।
তিনি আরো বলেন, খেয়াল রাখতে হবে আমাদের নাটকগুলো যেন সবসময় বঞ্চিত, নির্যাতিত মানুষের পক্ষে হয় এবং আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, অসাম্প্রদায়িক চেতনা, বাঙালির যে গৌরবোজ্জল সম্মান জাতির পিতার নেতৃত্বে যে স্বাধীনতা এগুলো যাতে ধারণ করতে পারি।
অনুষ্ঠানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগের চেয়ারম্যান ক্যাথরিন পিউরীফিকেশনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মো. হুমায়ুন কবীর চৌধুরী এবং কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. হোসনে আরা বেগম। অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন, ইনস্টিটিউটের পরিচালক, বিভাগীয় চেয়ারম্যান, বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, তিন দিনব্যাপী (২৮-৩০ জানুয়ারি) নাট্যোৎসবে প্রতিদিন দুইটি করে নাটক প্রদর্শনী হবে। নাটকগুলি প্রতিদিন দুপুর ১২টায় ও সন্ধ্যা ৬টায় প্রদর্শিত হবে।