পদার্থবিজ্ঞানের শিক্ষিকা কির্স্টি বুচান। কিন্তু তার রগরগে নগ্ন ছবি চলে যায় শিক্ষার্থীদের হাতে। তা শেয়ার হয়। ফলে স্কুল থেকে চাকরিচ্যুত করার আগেই তিনি চাকরি থেকে সরে আসেন। তবে পদত্যাগ করেননি। এ নিয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে তার এখনও বাহাস হচ্ছে। সামনেই বড়দিন। এদিন উপলক্ষে স্কুলের পক্ষ থেকে পার্টি আয়োজন করা হয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে কির্স্টি বুচান’কে একটি অডিও বার্তা পাঠানো হয়েছে। বলা হয়েছে, ওই পার্টিতে যেন যোগ না দেন কির্স্টি বুচান।
তিনি উপস্থিত হলে অন্যরা অস্বস্তিকর অবস্থায় পড়তে পারেন। কিন্তু পাল্টা জবাব দিয়েছেন কির্স্টি বুচান। তিনি বলেছেন, আমি যাবই ওই অনুষ্ঠানে। এখনও আমার যোগ দেয়ার অধিকার আছে। যদি কেউ অস্বস্তি বোধ করেন, তাহলে তিনি যেন এতে যোগ না দেন। এ খবর দিয়েছে বৃটেনের একটি ট্যাবলয়েড পত্রিকার অনলাইন সংস্করণ।
গ্লাসগোতে ব্যানারম্যান হাই ইন বেইলিয়েস্টোনের পদার্থবিজ্ঞানের সাবেক শিক্ষিকা কির্স্টি বুচান। তিনি বড়দিনের অফিস পার্টিতে যেতে চান। এই পার্টি থেকেই তিনি সহকর্মীদের বিদায় জানাতে চান। তার নগ্নছবি শিক্ষার্থীদের হাতে চলে যাওয়ার পর তা পুরো স্কুলে দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ে। এতে ৫ ফুট ৫ ইঞ্চি উচ্চতার ৩৩ বছর বয়সী কির্স্টি বুচান’কে দেখা যায় টপলেস অথবা পুরো নগ্ন। এ অবস্থায় তিনি স্কুল থেকে বেরিয়ে যোগ দিয়েছেন প্রাপ্ত বয়স্কদের একটি সাইটে। এই সাইটটি পর্নো বিষয়ক। তিনি বলেছেন, তার সাবেক বসের কাছ থেকে একটি ভয়েসমেইল পেয়েছেন। তাতে বড়দিন উপলক্ষে গ্লাসগো রেস্তোরাঁর পার্টিতে তাকে যোগ না দিতে বলা হয়।
তবে কির্স্টি বুচান অন্যদের অস্বস্তির কারণ হলেও সব আইন ভেঙে ওই পার্টিতে যোগ দেয়ার প্রত্যয় ঘোষণা করেছেন। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করতে বেছে নিয়েছেন ফেসবুক। এতে তিনি ছবি পোস্ট করেছেন। টেক্সট ম্যাসেজ দিয়েছেন। ভয়েসমেইল দিয়েছেন। ওই ভয়েসমেইল তার সাবেক বসের। এতে শোনা যায়- আপনাকে জানাতে শুধু ফোন করছি আমি। ২২শে
ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার সায়েন্স ফ্যাকাল্টিতে রাতে যে পার্টি আয়োজন করা হয়েছে, সেখানে আপনি যোগ দিতে পারবেন না। এখন আপনি আমাদের সঙ্গে ব্যানারম্যানে আর কাজ করেন না। গত কয়েক সপ্তাহে (আপনি যেসব কাণ্ড ঘটিয়েছেন) তার অর্থ হলো ওই পার্টিতে আপনি উপস্থিত হলে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানুষ খুব অস্বস্তি বোধ করবেন। আমি জানি এই পার্টির জন্য আপনি চাঁদা দিয়েছেন। তবে সেই অর্থ পুরোটাই আমরা আপনাকে ফেরত দেব। পরিষ্কার করছি যে- বৃহস্পতিবার আপনি আসবেন না। ধন্যবাদ।এর জবাবে কির্স্টি বুচান ফেসবুকে লিখেছেন, এটা আপনার বা অন্য কারও সিদ্ধান্ত নেয়ার বিষয় নয়। আমি কি করবো, তা কি আপনি জানেন। এখনও আমি ৪ঠা জানুয়ারি পর্যন্ত এখানে দায়িত্বরত। ছোট্ট বাচ্চাদের মতো আপনি বা অন্য কারো উচিত হবে না আমাকে ধমক দেয়া বা ভয় দেখানো। যদি আপনাদের কারো কোনো সমস্যা থাকে, তাহলে তার বা তাদের উচিত হবে পার্টিতে না আসা। যেসব মানুষ আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করছে, তাদের চেয়ে অনেক বেশি সময় এ স্কুলে আমি কাজ করছি। আপনার সঙ্গে দেখা হবে বৃহস্পতিবার।
আরেক পোস্টে তিনি লিখেছেন, আপনি আমাকে বলেছেন বড়দিনের ওই পার্টিতে যোগ না দিতে। কারণ, কিছু মানুষ অস্বস্তিবোধ করবে। এটা তো ব্যানারম্যানের নাইট-আউট। আমি সেখানে আর কাজ করি না। তাহলে তো অন্য যুগলদের জন্যও তো একই কথা প্রযোজ্য। এসব মানুষ আপনাদের সন্তানদের প্রভাবিত করছে। তাদের মানসিকতাকে সংকীর্ণ করে দিচ্ছে।