যশোরের মণিরামপুরে স্কুল শিক্ষিকাকে পেটানোর ঘটনায় সেই যুবলীগ নেতা মিজানুর রহমানকে দল থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। সোমবার রাতে আওয়ামী যুবলীগের মণিরামপুর পৌর শাখার প্যাডে তাকে বহিষ্কার আদেশ সাংবাদিকদের হাতে পৌছায়।
এতে জানানো হয়েছে, সংগঠনের শৃংঙ্খলা পরিপন্থি কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত থাকায় মিজানুর রহমানকে দল থেকে সাময়িক অব্যাহতি দেয়া হয়। তার বিরুদ্ধে শৃঙ্খলা ও গঠনতন্ত্র পরিপন্থি কর্মকাণ্ডের সুনিদিষ্ট অভিযোগ রয়েছে, এতে সংগঠনের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে। এ কারণে সংগঠন থেকে সাময়িকভাবে অব্যাহতি দেয়া হলো।
মিজানুর রহমান মিজান মণিরামপুর পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ড (দূর্গাপুর) যুবলীগের সভাপতি ছিলেন।
প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার দূর্গাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পরীক্ষা চলাকালীন দায়িত্ব পালন করছিলেন শিক্ষিকা ছালিমা আক্তার। হঠাৎ তিনি দেখতে পান শিক্ষকদের বেসিনে ট্যাপ খোলার চেষ্টা করছে তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র রাকিবুল ইসলাম। এক পর্যায়ে ছাত্রকে ট্যাপ খুলতে নিষেধ করেন। এরপর ওই শিক্ষার্থী বাড়িতে গিয়ে বাবা-মাকে নালিশ দেয়। কিছুক্ষণের মধ্যে ওই শিক্ষার্থীর বাবা মিজানুর রহমান বিদ্যালয়ে আসেন এবং এ সময় শ্রেণিকক্ষে ঢুকে শিক্ষিকা ছালিমা আক্তারকে কিলঘুষি মারতে শুরু করেন। পরে পরিস্থিতি শান্ত করেন অন্যান্য শিক্ষকরা। ওই শিক্ষিকা মিজানুর রহমানকে অভিযুক্ত করে থানায় মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় বৃহস্পতিবার মিজানুরকে পুলিশ আটক করে আদালতে পাঠালে বিজ্ঞ আদালত তাকে জেল হাজতে পাঠিয়েছেন।
মণিরামপুর পৌর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলাম রবি সাময়িক অব্যহির বিষয়টি নিশ্চিত করে দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, মিজানুর রহমান মিজান জামিনে মুক্তি পেলে দলীয় সিদ্ধান্ত মোতাবেক পরবতী পদক্ষেপ নেয়া হবে।