নীলফামারীর জলঢাকায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এক শিক্ষিকার বিরুদ্ধে স্কুলের গাছ কেটে ফেলার অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে তদন্ত কমিটি। কোনো টেন্ডার বা কমিটির সিদ্ধান্ত ছাড়াই ওই শিক্ষিকা স্কুলের জমিতের থাকা ৫টি ইউক্যালিপটাস গাছ কয়েকজন শ্রমিককে দিয়ে কাটিয়ে নিয়েছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছিলো। সরেজমিনে তদন্ত করে অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে উপজেলা শিক্ষা অফিস।
জানা গেছে, অভিযুক্ত ওই শিক্ষিকার নাম সহকারী শিক্ষিকা জাহানারা বেগম। তিনি পৌরশহরের উত্তর চেরেঙ্গা মাঝাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা। তার নির্দেশে গত বৃহস্পতিবার স্কুলের জমির ওই ৫টি গাছ শ্রমিকরা অবৈধভাবে কেটে ফেলেছে বলে অভিযোগ ওঠে।
জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) দুপুরে জলঢাকা পৌরশহরের উত্তর চেরেঙ্গা মাঝাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে থাকা পাঁচটি বড় ইউক্যালিপটাস গাছ কেটে ফেলেন শ্রমিকরা। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,গাছ ৫ টি কাটার পর বিদ্যালয়ের পাশের একটি জমিতে পরে রয়েছে। শিক্ষিকার ও তার স্বামী গাছগুলো কেটে ফেলার নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানা যায়। বিষয়টি নিয়ে গত ২৬ জানুয়ারি দৈনিক শিক্ষাডটকমে ‘শিক্ষিকার বিরুদ্ধে সরকারি স্কুলের গাছ কাটার অভিযোগ’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। পরে, বিষয়টি তদন্ত করে উপজেলা শিক্ষা অফিস।
গতকাল রোববার ওই ক্লাস্টারের দায়িত্বে থাকা উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারসহ দুই সদস্যের তদন্ত কমিটি সরেজমিন পরিদর্শন করেন।
তদন্ত শেষে জানতে চাইলে ক্লাস্টারের দায়িত্বে থাকা উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আনোয়ারুল কবীর রতন দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, সহকারী শিক্ষিকার বিরুদ্ধে গাছ কাটার অভিযোগটি প্রাথমিকভাবে সত্যতা পেয়েছি, অফিসিয়াল নিয়মে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রধান শিক্ষককে লিখিতভাবে জানাতে বলা হয়েছে।
অভিযুক্ত সহকারী শিক্ষিকা জাহানারা বেগমের দাবি, গাছগুলো স্কুলের, তবে তাদের জমির সীমানায় আসায় তার স্বামী ৫টি গাছ কেটে ফেলেছেন।
উত্তর মাঝাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আরজুয়ারা বেগম দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, গাছগুলো প্রকৃতপক্ষে স্কুলের জমিতেই ছিলো। স্যারের নির্দেশ অনুযায়ী লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছি।