নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় শিক্ষিকার সঙ্গে পরকীয়ার অভিযোগে স্কুল কমিটির সভাপতির পদ থেকে আওয়ামী লীগ নেতা এমএ মান্নানকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। একইসঙ্গে শিক্ষিকা রোমানা ফৌজিয়া দুলারিকে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করা হয়েছে।
সোমবার (৭ আগস্ট) দুপুরে ফতুল্লার মুসলিম নগর কেএম উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কক্ষে সভা শেষে ম্যানেজিং কমিটি ও শিক্ষকরা এ সিদ্ধান্ত নেন। অব্যাহতিপ্রাপ্ত এমএ মান্নান ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক।
প্রধান শিক্ষক একেএম ইব্রাহিম বলেন, কয়েকদিন যাবত আমাদের স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও এক শিক্ষিকাকে নিয়ে আলোচনা সমালোচনা চলছে। স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি এমএ মান্নান আমাদের স্কুলের শিক্ষিকা রোমানা ফৌজিয়া দুলারিকে নিয়ে অজ্ঞাত স্থানে ঘুরতে যান। বিষয়টি এলাকাবাসী খারাপ দৃষ্টিতে নিয়েছে এবং মিছিল সহকারে স্কুলে এসে আমাদের কাছে বিচার দাবি করে।
এই ঘটনায় পর খোঁজ-খবর নিয়ে জানতে পারি তারা দু’জনই বিবাহিত ও পরকীয়ায় আসক্ত। এ নিয়ে ম্যানেজিং কমিটি ও শিক্ষকবৃন্দ দীর্ঘসময় সভা করে দু’জনের বিষয়ে পৃথক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। স্কুলের সুনাম রক্ষার্থে সভাপতির পদ থেকে মান্নানকে অব্যাহতি ও শিক্ষিকা দুলারিকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এ বিষয়ে ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম সাইফুল্লাহ বাদল বলেন, এমএ মান্নান ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি একটি স্কুলের শিক্ষিকার সঙ্গে পরকীয়া করেন এমন অভিযোগ আমরা পেয়েছি। বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে থানা আওয়ামী লীগ দেখছে। দলের ভাবমূর্তি রক্ষার্থে এমএ মান্নানকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হবে।
তবে এ বিষয়ে এমএ মান্নান বলেন, ছোট থেকে আমি দুলারিকে ভালোবাসি। অন্যরা যদি দ্বিতীয় বিয়ে করতে পারে তাহলে আমি করলে দোষের কী।
এ বিষয়ে শিক্ষিকা রোমানা ফৌজিয়া দুলারির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।