খুলনার দৌলতপুরে তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী অঙ্কিতাকে ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় আসামি প্রীতম রুদ্রকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে আসামিকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
বুধবার খুলনা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মতিউর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন। এ সময় আসামি প্রীতম আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০২১ খ্রিষ্টাব্দের ২২ জানুয়ারি বিকেলে খুলনার দৌলতপুর পাবলা বণিকপাড়া এলাকায় খেলতে গিয়ে নিখোঁজ হয় স্থানীয় সরকারি বিনা পানি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী অঙ্কিতা দে ছোঁয়া। এ ঘটনায় প্রথমে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) এবং পরবর্তীতে অপহরণ মামলা করেন অঙ্কিতার বাবা সুশান্ত দে।
নিখোঁজের ছয়দিন পর একটি বাড়ির নিচতলায় থাকা বিউটি পার্লারের বাথরুম থেকে অঙ্কিতার বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে বাড়ির মালিক প্রভাত কুমার রুদ্রের ছেলে প্রীতম রুদ্রকে (২৭) গ্রেফতার করে পুলিশ। ধর্ষণের পর হত্যা এবং পরে মরদেহ গুম করার দায় স্বীকার করে ওই বছরের ৩০ জানুয়ারি খুলনা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আহমেদের কাছে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছিলেন অভিযুক্ত প্রীতম।