শিশুশিক্ষা ও তার সঙ্গে জড়িত জনবলসহ প্রবীণ পেনশনভোগীদের সমস্যা নিরসন নির্বাচনী ইশতেহার অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানিয়েছে বঙ্গবন্ধু প্রাথমিক শিক্ষা গবেষণা পরিষদ। এ বিষয়গুলো ইশতেহারে অন্তর্ভুক্ত করতে কিছু পরামর্শ উপস্থাপন করেছে সংগঠনটি।
মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয় পরিষদের এক প্রতিনিধি দল এ পরামর্শগুলো লিখিতভাবে উপস্থাপন করে।
পরিষদের নেতারা, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক সংকট দূর করতে মেধাবী অভিজ্ঞ ও প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত জনবল গড়ে তোলার লক্ষে স্বতন্ত্র প্রাথমিক শিক্ষা ক্যাডার সার্ভিস গঠন করা, শিশুবান্ধব শিক্ষা ও সময়সূচি, প্রাথমিকের দপ্তরিদের চাকরি রাজস্ব খাতে স্থানান্তর, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বেতন বৈষম্য দূর করা, কিন্ডারগার্টেন বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ ও সহজ শর্তে বিদ্যালয় রেজিস্ট্রেশন, জাতীয় ও বিশেষ দিবস স্বতঃস্ফূর্ত পালনে বিদ্যালয় বার্ষিক ছুটি থেকে বাদ দিয়ে ওই ৬ দিনের ছুটি শ্রান্তি বিনোদনের ক্ষেত্রে যোগ করা, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ মুক্ত রাখা, দ্বিতীয় ধাপের ৪৪টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ, ৬০ বছরের ঊর্ধ্বে বয়স্কদের সিনিয়র সিটিজেন হিসেবে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দেয়া, সরকারি অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারীদের চিকিৎসা ভাতা বৃদ্ধি, পেনশনের ক্ষেত্রে জুনিয়র সিনিয়রদের বৈষম্য দূরীকরণ, শতভাগ পেনশন সমর্পণকারীদের পেনশন ১০ বছর পুনঃস্থাপনের বিষয়গুলো আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানান। সুপারিশমালার যৌক্তিকতা বিবেচনায় শিশুশিক্ষা ও সিনিয়র অবসরপ্রাপ্তদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে কিছু লিখিত পরামর্শ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নির্বাচন ইশতেহারে প্রণয়ন উপ-কমিটির আহ্বায়ক ও সদস্যসচিবকে দেয়া।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপদেষ্টা ও সাবেক বিভাগীয় উপপরিচালক ইন্দু ভুষণ দেব, খন্দকার মনিরুজ্জামান, মো. সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক এমএ ছিদ্দিক মিয়া, সামছুদ্দিন বাবুল (লক্ষীপুর), বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মফিজ উল্যাহ (কমলনগর, লক্ষীপুর), আসমা খানম (গোপালগঞ্জ), আ. হালিম সরকার, (তিতাস, কুমিল্লা), সৈয়দ সালেহ আহম্মেদ (লাকসাম, কুমিল্লা), মো. আব্দুর রাজ্জাকসহ (শিবগঞ্জ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ) পরিষদের নেতারা। এছাড়া কিন্ডারগার্ডেন শিক্ষক নেতা মিজানুর রহমান, মো. আব্দুর রহিম, দপ্তরি নেতা সাধন চন্দ্র বাড়ৈ ও মো. নাছির উদ্দিন এসময় উপস্থিত ছিলেন।