শিশুখাদ্যে মাত্রাতিরিক্ত চিনি ব্যবহারের অভিযোগের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছে সুইজারল্যান্ডের প্রতিষ্ঠান নেসলে।
বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, আমরা আপনাকে আশ্বস্ত করতে চাই যে, আমাদের Infant Cereal (ইনফ্যান্ট সিরিয়াল) পণ্যগুলো শিশুদের সুস্থভাবে বেড়ে উঠার জন্য যেসব পুষ্টিকর উপাদানগুলো প্রয়োজন (যেমন প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, ভিটামিন, মিনারেল, আয়রন ও অন্যান্য) তার যথাযথ সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য তৈরি করে। আমরা কখনই আমাদের পণ্যের পুষ্টির মানের সঙ্গে আপস করি না এবং করব না। আমরা ক্রমাগত আমাদের বিস্তৃত নেসলের রিসার্চ ও ডেভেলপমেন্ট সেন্টারকে ব্যবহার করে শিশুদের পুষ্টিচাহিদা নিশ্চিত করার উদ্দেশ্য ব্যপক হারে কাজ করে যাচ্ছি। নেসলে বাংলাদেশের একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য হচ্ছে- কমপ্লায়েন্স এবং এটা নিয়ে নেসলে কখনই আপস করেনি এবং করবেও না।
‘নেসলে বাংলাদেশে উৎপাদিত প্রতিটি পণ্য কঠোরভাবে আন্তর্জাতিক CODEX (WHO এবং FAO দ্বারা প্রতিষ্ঠিত একটি কমিশন) এবং বাংলাদেশের মান নিয়ন্ত্রক (যেমন বিএসটিআই)- এর নির্ধারিত প্রতিটি মান কঠোরভাবে মেনে চলে এবং বিশেষভাবে স্থানীয় চাহিদা অনুসারে (প্রয়োজনীয়) শর্করাসহ (চিনি) সমস্ত পুষ্টির প্রয়োজনীয় এবং সম্পর্কিত উপাদানসমূহ সংযুক্ত করে থাকে।’
বিজ্ঞপ্তিতে নেসলে আরও জানায়, শিশু খাদ্যে সংযুক্ত শর্করা (চিনি) হ্রাস করা নেসলে বাংলাদেশের একটি মূল লক্ষ্য। গত ৫ বছরে নেসলে বিভিন্ন প্রকারের পণ্যের সংযুক্ত শর্করা (চিনি) ৩০ শতাংশের অধিক হ্রাস করতে সক্ষম হয়েছে। আমরা নিয়মিত আমাদের পণ্যের মান পর্যালোচনা করি এবং যুক্ত শর্করার (চিনি) মাত্রা আরও কমাতে আমাদের পণ্যগুলো উদ্ভাবন এবং সংস্কার করে থাকি। এই প্রক্রিয়ায় নেসলে কোনো প্রকার পুষ্টি, গুণমান, খাদ্যের নিরাপত্তা এবং স্বাদের সাথে আপস করে না।
‘নেসলে বাংলাদেশ সর্বদা সর্বোত্তম পুষ্টি সরবরাহ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বিগত ৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে আমরা কন্স্যুমারদের জন্য আমাদের খাদ্যপণ্যগুলোর পুষ্টি, গুণমান এবং নিরাপত্তার সর্বোচ্চ মান বজায় রেখেছি এবং ভবিষ্যতেও রাখতে অঙ্গীকারবদ্ধ।’
এর আগে, সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বেসরকারি সংস্থা পাবলিক আই ও ইন্টারন্যাশনাল বেবি ফুড অ্যাকশন নেটওয়ার্কের করা এক গবেষণায় দেখা গেছে, বিশ্বের অনুন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলোতে বিক্রি করা নেসলের শিশুখাদ্যে উচ্চমাত্রায় চিনির উপস্থিতি পাওয়া গেছে। নেসলে সুইজারল্যান্ডে বাজারজাত করা তাদের পণ্য সেরেলাকে বাড়তি চিনি ব্যবহার না করলেও বাংলাদেশ, ভারত, থাইল্যান্ডসহ এশিয়ার উন্নয়নশীল ও দরিদ্র দেশগুলোতে বাড়তি চিনি যুক্ত করছে। যা স্থূলতা এবং দীর্ঘস্থায়ী রোগ প্রতিরোধের আন্তর্জাতিক নীতিমালার লঙ্ঘন।
বর্তমানে বাংলাদেশের বাজারে নেসলের ৯টি খাদ্যপণ্য বিক্রি হচ্ছে। সবগুলো পণ্যতেই বাড়তি চিনি রয়েছে বলেও দাবি করা হয়।