পাবনার সাঁথিয়ায় তিন দিন মাদ্রাসায় অনুপস্থিত থাকায় এক শিশুছাত্রকে হাত-পা বেঁধে পিটিয়ে জখম করেছেন এক শিক্ষক। মারধরে আহত ওই শিশুটি বর্তমানে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন। শিশুটির মায়ের দাবি, জন্ডিসে আক্রান্ত হওয়ায় তাকে মাদ্রাসায় যেতে দেয়নি পরিবার।
এদিকে মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটি শিশুটির চিকিৎসার ব্যয়ভার বহনের দায়িত্ব নিয়ে অনুরোধ করায় পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় কোনো অভিযোগ দেওয়া হয়নি।
এ ঘটনা ঘটেছে উপজেলার গৌরীগ্রাম ইউনিয়নের হাড়িয়াকাহন বাইতুল উলুম নুরানি হাফিজিয়া মাদ্রাসায়। অভিযুক্ত ওই শিক্ষকের নাম মাওলানা ইকবাল হোসাইন। ঘটনার পর থেকে তিনি পলাতক রয়েছেন। ভুক্তভোগী শিশুর নাম আসাদুল (৮)। সে ওই মাদ্রাসার হেফজ শাখার শিক্ষার্থী। আসাদুল হাড়িয়াকাহন গ্রামের আনোয়ার হোসেনের ছেলে। গতকাল বুধবার সাঁথিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, শিশুটিকে যে দিন নিয়ে আসা হয়, সেদিন তার অবস্থা খুবই নাজুক ছিল। সে খুব ভয় পেয়েছে। পরে যেন জটিল কোনো সমস্যা না হয়, সে জন্য তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। তবে মারপিটের জখম শুকাতে সময় লাগবে।
ভুক্তভোগী শিশুর পরিবার বলছে, আসাদুলের জন্ডিস হওয়ার কারণে তিন দিন মাদ্রাসায় অনুপস্থিত ছিল। গত রোববার রাত ১১টার দিকে আসাদুলকে ডাকার জন্য তার দুই সহপাঠীকে পাঠান ওই শিক্ষক। এ সময় ওই শিক্ষক বাইরে অপেক্ষা করছিলেন। পরে আসাদুল সহপাঠীদের সঙ্গে বাইরে এলে তার কাছে মাদ্রাসায় না আসার কারণ জানতে চান। জন্ডিসে আক্রান্ত জানার পরও শিক্ষক ইকবাল হোসেন আসাদুলকে ধরে মাদ্রাসায় নিয়ে যান। সেখানে তাকে হাত-পা বেঁধে টেবিলের নিচে মাথা দিয়ে কোমরের নিচের অংশে বেত ও স্টিলের স্কেল দিয়ে বেধড়ক পেটাতে থাকেন।
সাঁথিয়া থানার ওসি রফিকুল ইসলাম বলেন, অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।