দেশের শীর্ষ করদাতা ও হাকিমপুরী জর্দা প্রস্তুতকারী কোম্পানির স্বত্বাধিকারী ব্যবসায়ী মো. কাউছ মিয়া মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। সোমবার রাত পৌনে ১টার দিকে রাজধানীর একটি হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। তিনি স্ত্রী, আট ছেলে ও আট মেয়ে রেখে গেছেন।
কাউছ মিয়ার ছেলে জাহাঙ্গীর মিয়া বাবার মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, মঙ্গলবার বাদ জোহর ঢাকার আরমানীটোলা মাঠে তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। জানাজা শেষে তাঁকে আজিমপুর কবরস্থানে দাফন করা হবে।
গুলশান-বনানী কিংবা মতিঝিলে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত চেম্বার নেই কাউছ মিয়ার। পুরান ঢাকার আগা নওয়াব দেউড়ি রোডে হাকিমপুরী জর্দার কারখানার একটি কক্ষই তাঁর ‘চেম্বার’। গুলশান-বনানী, মতিঝিলের ডাকসাইটে ব্যবসায়ীদের পেছনে ফেলে পুরান ঢাকার এ ব্যবসায়ী প্রতিবছর সর্বোচ্চ করদাতা হন। ২০০৮ সাল থেকে টানা ১৫ বছর তিনি সর্বোচ্চ করদাতা।
কাউছ মিয়া ১৯৫৮ খ্রিষ্টাব্দে কর দেয়া শুরু করেন। ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দে এনবিআরের এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেছিলেন, ‘আগে টাকাপয়সা এখানে-সেখানে রাখতাম। এতে নানা ঝামেলা ও ঝুঁকি থাকত। ১৯৫৮ খ্রিষ্টাব্দে প্রথম কর দিয়ে “ফ্রি” হয়ে গেলাম। এরপর সব টাকাপয়সা ব্যাংকে রাখতে শুরু করলাম। হিসাব-নিকাশ পরিষ্কার করে রাখলাম।’
এর আগে ১৯৬৭ খ্রিষ্টাব্দে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে এক নম্বর করদাতা হয়েছিলেন কাউছ মিয়া। কাউছ মিয়ার জন্ম চাঁদপুর সদর উপজেলার রাজরাজেশ্বরে। প্রথমে তিনি চাঁদপুরে ব্যবসা শুরু করেন। এরপর হাজীগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ ও পুরান ঢাকার আরমানীটোলায় ব্যবসা করেন।