শুক্রবার জুমার নামাজের পর গণমিছিল কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একাংশ। বৃহস্পতিবার বিকেলে সংগঠনের সমন্বয়ক আবদুল কাদেরের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
গণমিছিলের আগে মসজিদে দোয়াসহ সকল উপাসনালয়ে প্রার্থনা এবং নিহতদের কবর জিয়ারত কর্মসূচিও দেয়া হয়েছে।
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে এক পর্যায়ে ব্যাপক সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। এতে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বহু হতাহত হন। সরকারের হিসেবে নিহতের সংখ্যা ১৫০ আর আন্দোলনকারীদের দাবি, ২৬৬।
আরো পড়ুন: ডিবি হেফাজত থেকে ছাড়া পেলেন ৬ সমন্বয়ক
এরমধ্যে গত ২৬ জুলাই বিকেলে আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ ও আবু বাকেরকে তুলে আনে ডিবি পুলিশ। পরদিন সন্ধ্যায় তুলে নেওয়া হয় সারজিস আলম ও হাসনাত আবদুল্লাহকে। আর ২৮ জুলাই ডিবি অফিস নেওয়া হয় নুসরাত তাবাসসুমকে। এরপর থেকে তারা মিন্টো রোডের ডিবি অফিসেই ছিলেন।
একই দিন ডিবি কার্যালয়ে সমন্বয়কদের সঙ্গে খাওয়া-দাওয়ার কয়েকটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রকাশ করেন ডিবির সাবেক অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশীদ। এরপর সমন্বয়কদের পরিবারের সদস্যরাও ডিবি অফিসে গিয়ে তাঁদের সঙ্গে দেখা করেন।
ডিবি হেফাজতে থেকেই গত ২৮ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এই ৬ সমন্বয়ক সকল আন্দোলন প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন। তবে এই ঘোষণাকে প্রত্যাখ্যান করে এরপর থেকেই নতুন করে আন্দোলন করে আসছেন অন্য সমন্বয়কেরা।
বৃহস্পতিবার সকালে এই সমন্বয়ককে ডিবি কার্যালয়ে থেকে মুক্তি দেয়া হয়।