নেত্রকোনার শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগে অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শুক্রবার (১৬ আগস্ট) বিকেলে শহরের মোক্তারপাড়া এলাকায় প্রেসক্লাবের সামনের সড়কে চাকরিপ্রত্যাশী ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্রসমাজের ব্যানারে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
মানববন্ধনে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন। তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অনিয়মের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠার পর থেকেই দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। মানা হয়নি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) কোনো বিধিবিধানও।
আওয়ামী লীগ সভাপতির নামে বিশ্ববিদ্যালয় হওয়ায় নিয়োগ পেয়েছেন দলটির অনেক চিহ্নিত ক্যাডারও। আবেদন না করে, পরীক্ষায় অংশগ্রহণ না করেও ২০২১ খ্রিষ্টাব্দে জনসংযোগ কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন এনামুল হক ওরফে আরাফাত নামের এক ছাত্রলীগকর্মী।
অভিযোগ করা হয়, এনামুল হক ওরফে আরাফাত সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মুহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের ছত্রছায়ায় ক্যাম্পাসে লুটতরাজ কায়েম করে আসছিল। গড়ে তুলেছিল নিয়োগ বাণিজ্যের এক নেটওয়ার্ক। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের টানা আন্দোলন ও দাবির মুখেও বহাল তবিয়তে চাকরিতে আছেন এ ব্যক্তি। তাছাড়া এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭৫ শতাংশ নিয়োগ অবৈধ, দলীয় ও ঘুষের মাধ্যমে হয়েছে বলেও দাবি করেন বক্তারা।
বক্তারা এনামুল হক ও তার স্ত্রীর ব্যাংক হিসাব দ্রুত ফ্রিজ করে তাকে চাকরি থেকে অপসারণ এবং সঠিক তদন্তের মাধ্যমে বিচাররের দাবি জানান।
মানববন্ধন থেকে তিনটি প্রধান দাবি উত্থাপন করা হয়। দাবিগুলো হলো- গত ২৭, ২৮, ২৯ জুন অনুষ্ঠিত কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ বাতিল করে পুনরায় পরীক্ষা নিতে হবে; একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে বিগত যত নিয়োগ সম্পন্ন হয়েছে সেগুলোর সুষ্ঠু তদন্ত করতে হবে এবং তদন্ত সাপেক্ষে দোষী ব্যক্তিদের চাকরিচ্যুত করে নতুন নিয়োগ সম্পন্ন করতে হবে।