খুলনা টাইগার্সকে ৬ উইকেটে হারিয়ে এবারের মিশন শুরু করলো ঢাকা ডমিনেটর্স। শুরুতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে মাত্র ১১৩ রান তুলেছ খুলনা। রান তাড়া করতে নেমে ৫ বল ও ৬ উইকেট হাতে রেখে জয় পেয়ে যায় ঢাকা।
ঘন কুয়াশার কারণে ৩০ মিনিট বিলম্বে শুরু হয়েছে ম্যাচটি। ব্যাট করতে নেমে দলীয় ১১ রানে শারজিল খানকে হারায় খুলনা। পাকিস্তানি এই ব্যাটার ১১ বলে ৭ রান করেছেন। দলীয় ১৬ রানে ফিরেন ৪ রান করা মুনিম শাহরিয়ার। ষষ্ঠ ওভারে আরাফান সানির শিকারে পরিণত হয়ে মাঠ ছাড়েন তারকা ব্যাটার তামিম ইকবাল। ১৫ বলে ৮ রান করেন তিনি। শেষে ইয়াসির আলী ও আজম খানের স্বল্প পুজিতে খুলনার ইনিংস থামে ১১৩ রানে।
চারে নামা আরেক পাকিস্তানি ব্যাটার আজম খান শুরুটা ভালই করেছিলেন। ১২ বলে ১৮ রান করা সেই ব্যাটারকে বোল্ড করে দেন আরাফাত সানি। ৪৯ রানেই ৪ উইকেট হারায় খুলনা। এরপর মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনকে নিয়ে ৩১ রানের জুটি গড়েন অধিনায়ক ইয়াসির আলী চৌধুরী রাব্বি। অধিনায়কও বড় করতে পারেননি ইনিংসটা, ২৫ বলে ২৪ রানে নাসির হোসেনের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হন তিনি। সাইফউদ্দিন আউট হন ১৯ রান করে।
জবাবে দিলশান মুনাবিরার ব্যাটে ভালো শুরু পেয়েছিল ঢাকা। কিন্তু পল ম্যাকেরেনের বলে আঘাত পেয়ে রিটায়ার হার্ড হয়ে মাঠ ছাড়েন আহমেদ শেহজাদ। তার জায়গায় খেলতে নেমে ১৩ বলে ১৬ রান করেন সৌম্য সরকার। নাসুমের বলে ৫ রানে থামতে পারতেন সৌম্য। স্লগ সুইপের চেষ্টায় গিয়ে হন পরাস্ত, মাঠের আম্পায়ার এলবিডব্লিউর আউট দিলে রিভিউ নেন তিনি। অনেকবার রিপ্লে দেখেও বিকল্প ডিআরএসে পরিস্কার হওয়া যায়নি কিছু। তবু সিদ্ধান্ত ওভারটার্ন হয়। বেঁচে যাওয়া সৌম্য নাসুমকে পরের বলেই মারেন চার, ওয়াহাব রিয়াজকে উড়ান ছক্কায়। ওয়াহাবের বলেই থামতে হয় তাকে।
এরপর ২২ রানে আউট হয়েছেন ওপেনার দিলশান মুনাবিরা। আর মোহাম্মদ মিঠুন আউট হয়েছেন ব্যক্তিগত ৮ রানে। চতুর্থ উইকেট জুটিতে উসমান গনিকে সঙ্গে নিয়ে দলকে জয়ের দিকে নিতে থাকেন দলনেতা নাসির। ১৪ রানে গনি ফিরলে আরিফুলকে নিয়ে জয় নিশ্চিত করেন নাসির। দলের জয়ে ব্যাটে-বলে অবদান ঢাকার অধিনায়ক নাসির হোসেনের। ৪ ওভার বল করে ২৯ রানে ২ উইকেট নেওয়ার পাশাপাশি ৩৬ বলে অপরাজিত ৩৬ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। ১ বলে ১ রানে অপরাজিত থাকেন আরিফুল।