বরিশাল সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর নজরুল ইসলামকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে অধ্যক্ষ প্রকৌশলী রুহুল আমিনের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার দুপুরে ইনস্টিটিউটের নিচতলায় এসি সপের সামনে এ ঘটনা ঘটে। মারধরের শিকার নজরুল ইসলাম এ ঘটনায় ওইদিন রাতে বরিশাল কোতোয়ালি থানায় অভিযোগ জমা দিয়েছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, অধ্যক্ষ প্রকৌশলী রুহুল আমিন বুধবার নজরুল ইসলামকে কারণ দর্শনোর নোটিশ দেন। সেই নোটিশের জবাব বৃহস্পতিবার দেন নজরুল ইসলাম। কিন্তু জবাব অধ্যক্ষ রুহুল আমিনের পছন্দ না হওয়ায় নজরুল ইসলামকে কিলঘুসি ও লাথি মারেন। এমনকি চাকরির ক্ষতি করারও হুমকি দেন অধ্যক্ষ। জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর নজরুল ইসলাম বলেন, আমি শোকজের জবাব দেই। কিন্তু তা অধ্যক্ষের মনঃপূত হয়নি। পরে আমাকে দ্বিতীয়তলা থেকে নিচতলার সিঁড়ির নিচে এসি সপের সামনে নিয়ে মারধর করেন। সেখানে সিসি ক্যামেরা নেই ও অন্ধকারাচ্ছন্ন। আমি এখন বরিশাল মেডিকেলে ভর্তি।
পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ প্রকৌশলী রুহুল আমিন বলেন, মারধরের বিষয়টি ভিত্তিহীন। তিনি কথায় কথায় মিথ্যা কথা বলেন। তাকে শোকজ করা হয়েছিল। কিন্তু তিনি যে ভাষা ব্যবহার করেছেন তা তার ক্ষতি হবে বলে তাকে জানিয়েছি। আবার অন্য শিক্ষকের ডকুমেন্ট তার মোবাইল ফোনে ছবি তুলেছেন। সেজন্য তার মোবাইল নিয়েছিলাম। কিন্তু মোবাইল
লক থাকায় তাকে খুলে দিতে বললে তিনি ডকুমেন্টটি ডিলেট করে দেন। এর বাইরে কিছু হয়নি।কোতোয়ালি থানার ওসি আজিমুল করিম বলেন, কেউ অভিযোগ দিলে অবশ্যই, তদন্ত করে দেখা হবে।